যথাযোগ্য মর্যাদা ও নানা আয়োজনের মধ্য দিয়ে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) বৃহস্পতিবার ‘২৫ মার্চ গণহত্যা দিবস-২০২১’ পালিত হয়েছে। দিবসটি পালন উপলক্ষে দিনব্যাপী কর্মসূচীর মধ্যে ছিল আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ৭ মার্চ ও অন্যান্য ভাষণ প্রচার, শহীদের আত্মার প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে বিশেষ দোয়া ও প্রার্থনা এবং রাত ৯টা থেকে ৯টা ১ মিনিট পর্যন্ত বারি’র প্রধান কার্যালয়ের সকল অফিস এবং আবাসিক এলাকায় প্রতীকি ব্ল্যাক আউট।

এ উপলক্ষ্যে বৃহষ্পতিবার সকালে ইনস্টিটিউটের কাজী বদরুদ্দোজা মিলনায়তনে আলোচনা সভা ও প্রামাণ্যচিত্র প্রদর্শন অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম। বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. এস. এম. শরিফুজ্জামানের সভাপতিত্বে আলোচনা সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (প্রশিক্ষণ ও যোগাযোগ) ড. মুহাম্মদ সামসুল আলম, পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম, পরিচালক (তৈলবীজ গবেষণা কেন্দ্র) ড. রীনা রানী সাহা। অনুষ্ঠানে বারি বিজ্ঞানী সমিতি (বারিসা), ডিপ্লোমা কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন বারি শাখা, বারি কর্মচারী কল্যাণ সমিতি (বারিকা), চতুর্থ শ্রেণী কর্মচারী সমিতি (বারিচা), বারি শ্রমিক সমিতির নেতৃবৃন্দ, ইনস্টিটিউটের সকল স্তরের বিজ্ঞানী, কর্মকর্তা, কর্মচারী, শিক্ষক-শিক্ষিকা ও শ্রমিকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে বারি মহাপরিচালক ড. মো. নাজিরুল ইসলাম বলেন, ১৯৭১ সালের আজকের এই দিনে বাঙালী জাতি এক কঠিন নির্মমতার মধ্য দিয়ে রাত্রি যাপন করেছিল। এই কালো রাতে পাকিস্তানী হানাদার বাহিনী নিরস্ত্র বাঙালীদের উপর ঝাপিয়ে পড়েছিল এবং সেদিনই বাঙালী জাতি বুঝতে পেরেছিল যুদ্ধ বা সংগ্রাম করে আমাদের স্বাধীনতা অর্জন করতে হবে। ২৫ মার্চ যে গণহত্যা আরম্ভ হয়েছিল তা আমাদের বিজয় দিবস পর্যন্ত চলেছে এবং সব শ্রেণীর মানুষ এই গণহত্যার শিকার হয়েছে। তিনি বলেন, আমাদের পরবর্তী প্রজন্ম জানুক এই দেশ, এই পতাকা এমনি এমনি আসেনি। তার জন্য আমাদের বহু আত্মত্যাগ করতে হয়েছে, জীবন দিতে হয়েছে, রক্ত দিতে হয়েছে। আর এর মাধ্যমে আমরা যে পতাকা পেয়েছি তা যেন সারা জীবনের জন্য সমুন্নত রাখতে পারি এজন্যই এই দিবসের আয়োজন।