রাজশাহীতে সড়ক দুর্ঘটনায় ১৭ জন নিহতের মামলায় হানিফ পরিবহনের বাসচালককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গতকাল শুক্রবার দুপুরে রাজশাহীর কাটাখালীতে বাসের সঙ্গে মাইক্রোবাসের সংঘর্ষ হয়। এতে নারী-শিশুসহ ১৭ জন নিহত হওয়ার ঘটনায় মামলা হয়। শুক্রবার (২৬ মার্চ) রাতে কেটিসি হানিফ বাসের চালককে একমাত্র আসামি করে মামলা করেছে কাটাখালী থানার পুলিশ।

শনিবার (২৭ মার্চ) সকালে রাজশাহী মহানগর পুলিশের অতিরিক্ত উপকমিশনার মো. গোলাম রুহুল কুদ্দুস এ তথ্য জানিয়ে বলেন, মামলায় বাসচালককে অজ্ঞাত দেখানো হয়েছিল। দুর্ঘটনায় মাইক্রোবাসের চালক হানিফ মারা গেছেন।

সিসিটিভির ফুটেজে দেখা যায়, ঢাকা-রাজশাহী মহাসড়কের রাজশাহীর কাটাখালী এলাকা। নাটোর থেকে ছেড়ে আসা কালো রঙের একটি মাইক্রোবাস দ্রুতগতিতে রাজশাহী শহরের দিকে যাচ্ছিল। এ সময় বিপরীত দিক থেকে আসা ঢাকাগামী হানিফ পরিবহনের যাত্রীবাহী একটি বাসের সঙ্গে মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মাইক্রোবাসের গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণ হয়ে আগুন ধরে যায়। এতে মুহূর্তেই নিভে যায় ১৭ মানুষের প্রাণ।

মাইক্রোবাসে থাকা দুই শিশু ও চার নারীসহ ১১ যাত্রী ঘটনাস্থলেই মারা যান। পরে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে মারা যান আরও ছয়জন। জানা গেছে, মাইক্রোবাসে তিনটি পরিবারের ১৮ জন যাত্রী ছিল। যাদের সবার বাড়ি পীরগঞ্জ উপজেলার বিভিন্ন গ্রামে। তারা সবাই রংপুর থেকে রাজশাহীতে বেড়াতে যাচ্ছিলেন। এদের মধ্যে একজন আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

পুড়ে যাওয়ায় সবার চেহারা বিকৃত হয়ে গেছে। তাদের শনাক্ত করা যাচ্ছে না। চিকিৎসকরা বলছেন, ডিএনএ পরীক্ষা ছাড়া তাদের চিহ্নিত করা যাবে না। আজ শনিবার ডিএনএ মিলিয়ে স্বজনদের কাছে লাশ হস্তান্তর করা হতে পারে।