বায়তুল মোকাররামে ধর্মপ্রাণ মুসল্লিদের ঈমানী আন্দোলনে ৫ জন মুসল্লিকে নির্বিচারে শহীদ করা এবং এর প্রতিবাদে দেশব্যাপী আন্দোলনে প্রায় ১৫ জনকে গুলি করে শহীদ করার প্রতিবাদে হেফাজতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ মৌলভীবাজার জেলা হেফাজতের ও কুলাউড়ার কটারকোনায় তৌহিদী জনতার বিক্ষোভ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।

আজ(২৭ মার্চ) শনিবার বাদ আসর হেফাজতের কেন্দ্রীয় নির্বাহী সদস্য ও জেলা হেফাজত নেতা মাওলানা জামিল আহমদ আনসারীর নেতৃত্বে মৌলভীবাজার সদর দেওয়ানী মসজিদ থেকে শুরু করে প্রেসক্লাব চত্ত্বর পর্যন্ত ও সন্ধার পরে কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের স্থানীয় কটারকোনায় বিক্ষোভ সমাবেশ করে তৌহিদী জনতা।

মৌলভীবাজার জেলা হেফাজতের মিছিল মাওলানা শাহ মিসবাহ’র সঞ্চালনায় বিক্ষোভ সমাবেশে মাওলানা জামিল আহমদ আনসারী বলেন, হেফাজতের কেন্দ্রীয় কর্মসূচীর অংশ হিসেবে আজ আমাদের বিক্ষোভ। বায়তুল মোকাররামে ঈমানী আন্দোলতরত মুসল্লিদের নির্বিচারে শহীদ করা এটার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানিয়ে বলেন এই অনুভিপ্রেত ঘটনা দেশের মানুষের স্বাধীনতা ও স্বক্রিয়তায় প্রশ্নবিদ্ধ।

উল্লেখ্য করে তিনি বলেন ঘটনার জন্য দায়ী হলো যারা ইসলাম বিদ্ধেষী ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে এদেশের সুবর্ণজয়ন্তী অনুষ্ঠানে অতিথি করেছে। এসময় আগামীকাল হেফাজতের হরতাল সফল করার উদ্দাত্ত আহব্বান জানান তিনি।

এসময় অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, হেফাজত নেতা মাওলানা ইসলাম উদ্দীন, মাওলানা আলতাফুর রহমান সাদিকী, মাওলানা এহসানুল হক জাকারিয়া, মাওলানা আরিফ আহমদ চৌধুরী সহ প্রমুখ।

পরিশেষে হেফাজত নেতা মাওলানা ইমদাদুর রহমানের দোয়ার মাধ্যমে বিক্ষোভ সমাবেশ সম্পন্ন হয়।

এদিকে দেশব্যাপী হেফাজতের বিক্ষোভ মিছিলের অংশ হিসেবে মৌলভীবাজারের কুলাউড়া উপজেলার হাজিপুর ইউনিয়নের স্থানীয় কটারকোনা বাজারে তাওহিদী জনতার বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়।

এতে মাওলানা মাহদী হাসানের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত বিক্ষোভ সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মাওলানা মুফতি হাবিবুর রহমান, মাওলানা আব্দুল মুঈন আদিল, মাওলানা মোহাম্মদ আলী প্রমুখ।

এসময় বক্তারা বলেন মসজিদ নগরী ঢাকা শহরে মোদির পদচারণে যে রক্তের সাগর ভাসছে এর দ্বায়ভার সরকার এড়াতে পারে না, বায়তুল মোকাররামে মুসল্লিদের উপর পুলিশ নির্বিচারে যে হত্যাকান্ড চালিয়েছে তা ৫০ বছর পূর্তি স্বাধীনতা বিজয়ের এ মাসেরশেষে ইতিহাসকে কলংকিত করেছে বলে তারা পুলিশি হত্যাকান্ডের তীব্র নিন্দা জানিয়ে এর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবী করেন।

তিমির বনিক, মৌলভীবাজার সংবাদকর্মী।