আফ্রিকার দেশ মালিতে ফ্রান্সের এক বিমান হামলায় ১৯ বেসামরিক ব্যক্তি নিহত হয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ। গত জানুয়ারি মাসে এই হামলা চালানো হয়েছিল বলে সংস্থাটির তদন্তকারীরা জানিয়েছেন। তবে জাতিসংঘের এই বক্তব্য অস্বীকার করেছে ফ্রান্স। দেশটির দাবি- মালিতে কেবল বিদ্রোহী যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই হামলা চালাচ্ছে তারা।

কাতারভিত্তিক সংবাদমাধ্যম আলজাজিরা জানিয়েছে, চলতি বছরের জানুয়ারির ৩ তারিখে মালির মোপতি অঞ্চলের বাউন্তি নামের একটি দুর্গম গ্রামে যুদ্ধবিমান ব্যবহার করে হামলা চালায় ফ্রান্সের সামরিক বাহিনী। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, একটি বিয়ের অনুষ্ঠানে সেই বিমান হামলা চালানো হয়েছিল এবং সেখানে কেবল বেসামরিক মানুষজনই উপস্থিত ছিলেন।

তবে ফ্রান্সের সামরিক বাহিনীর দাবি, আকাশ থেকে নজরদারি চালানোর সময় ওই স্থানে ৩০ জন ‘বিদ্রোহী যোদ্ধাকে’ চিহ্নিত করা হয়। এ ছাড়া সেদিন ওই গ্রামে বিয়ের কোনো অনুষ্ঠান ছিল না বলেও দাবি করে দেশটি।

মালিতে নিযুক্ত জাতিসংঘের মানবাধিকার বিভাগ ‘এমআইএনইউএসএমএ’ মঙ্গলবার জানিয়েছে, জানুয়ারির ৩ তারিখে হামলা হওয়া সেই বাউন্তি গ্রামটি তারা পরিদর্শন করেছেন। সেখানে স্যাটেলাইট থেকে নেওয়া ছবি তারা বিশ্লেষণ করেছেন এবং ৪০০ জনেরও বেশি মানুষের সঙ্গে কথা বলেছেন। এরমধ্যে একক ভাবে মুখোমুখি বসে ১১৫ জনের সঙ্গে কথা বলেছে সংস্থাটি।

গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের প্রকাশিত প্রতিবেদনে বলা হয়, ‘বিমান হামলা চালানোর স্থানটিতে ঘটনার দিন বিয়ের অনুষ্ঠান চলছিল। যার কারণে সেখানে প্রায় ১০০ জন মানুষ উপস্থিত ছিলেন।’ প্রতিবেদনে আরও বলা হয়, হামলায় ১৯ জন নিহত হয়েছিলেন। নিহতদের মধ্যে ১৬ জন বেসামরিক নাগরিক ও ৩ জন অস্ত্রধারী ব্যক্তি ছিলেন। তারা সবাই ঘটনাস্থলেই নিহত হন।

এদিকে গত ২৫ মার্চ মালির উত্তরাঞ্চলে ভুল বিমান হামলা চালিয়ে ফরাসি সামরিক বাহিনী ৬ জন বেসামরিক মানুষকে হত্যা করেছে বলে অভিযোগ করেছে দেশটির কর্মকর্তারা। তবে ফ্রান্সের দাবি, তারা সশস্ত্র যোদ্ধাদের লক্ষ্য করেই হামলা পরিচালনা করছে।