লালমনিরহাট জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করসহ ছাত্রলীগ নেতাকর্মীদের নামে ভাঙচুরের মামলার পক্ষে-বিপক্ষে দুটি গ্রুপের মিছিলে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। এতে হতাহতের কোন ঘটনা না ঘটলেও শহরজুড়ে আতঙ্ক সৃষ্টি হয়। ফলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে।
আজ শনিবার (১০ এপ্রিল) দুপুর ১২টায় জেলা শহরের শহরের বানিয়া পট্টি এলাকার বাটামোড়ে এ ঘটনা ঘটে।
জানাগেছে, গত ৮এপ্রিল সন্ধ্যায় শহরের আলোরুপা মোড়ে ছাত্রলীগের সাবেক সহ সভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের বাড়িতে ক্রিকেট খেলাকে কেন্দ্র করে হামলা করে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপের একটি দল। এতে ছাত্রলীগ নেতা সবুজের মা আহত হন। এ ঘটনায় রাতে আহত ফাতেমা বেগম বাদি হয়ে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ও সদর উপজেলা পরিষদ ভাইস চেয়ারম্যান জাবেদ হোসেন বক্করসহ ২০জনের নাম উল্লেখ করে অজ্ঞাত ৫০থেকে ৬০জনের নামে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেন। এ মামলা প্রত্যাহারের দাবীতে গতকাল ৯এপ্রিল রাতে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপ ও পৌর ছাত্রলীগ গ্রুপ জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি বিক্ষোভ মিছিল বের করে।
সেই ঘটনার আলোকে আজ দুপুর ১২ টায় জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল আহমেদ অয়ন ও সাবেক সহ সভাপতি ফরিদ হাসান সবুজের নেতৃত্বে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার থেকে ছাত্রলীগের একাংশ বর্তমান ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করকে গ্রেফতারের দাবীতে একটি মিছিল বের করে শহরের বাটামোড়ে পৌছায়।
অপরদিকে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্করের নেতৃত্বে জেলা ছাত্রলীগ অফিস থেকে একটি মিছিল বের হয়ে ওই বাটামোড়ে পৌছালে দুই মিছিলের মুখোমুখি হয়। এরপরেই শুরু হয় ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া। দেশীয় অস্ত্র নিয়ে মহরা দিতে থাকে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপ। ফলে শহরজুড়ে আতংক শুরু হয়। পরে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ আনতে শহরে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়।

জেলা ছাত্রলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বিপুল আহমেদ অয়ন জানান, আমাদের শান্তিপুর্ন মিছিলে জেলা ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন বক্কর গ্রুপ ধাওয়া করে এবং ইটপাটকেল নিক্ষেপ করে আতংক সৃষ্টি করে।
এ ব্যাপারে ছাত্রলীগের সভাপতি জাবেদ হোসেন জানান, আমরা কাউকে ধাওয়া দেইনি। রাজনীতির প্রতিহিংসার কারনেই তাদের এই ভিত্তিহীন অভিযোগ।
এ ব্যাপারে সদর থানার ওসি শাহ আলম জানান, ছাত্রলীগের দুই গ্রুপের মধ্যে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটলেও কেউ হতাহত হয়নি। অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়েন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে রয়েছে।
লালমনিরহাট জেলা পুলিশ সুপার আবিদা সুলতানা বলেন, পরিস্থিতি সাভাবিক রয়েছে। অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা এড়াতে শহরজুড়ে অতিরিক্ত পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে।