হেফাজতে ইসলামের নেতা মুফতি ইলিয়াস হামিদীকে সংগঠনটির আরেক নেতা মামুনুল হক পরিচালিত মাদ্রাসা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে জানিয়েছে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়ন (র‌্যাব-২)। গ্রেপ্তারের পর আদালতে তোলা হলে তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দিয়েছেন আদালত।

গতকাল মঙ্গলবার ঢাকার কেরানীগঞ্জের মডেল থানায় সন্ত্রাসবিরোধী আইনের মামলায় তাকে অধিকতর জিজ্ঞাসাবাদের জন্য ঢাকার মুখ্য বিচারিক হাকিম (সিজেএম) আদালতে ১০ দিনের রিমান্ড চেয়ে আবেদন করে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পুলিশ। শুনানি শেষে বিচারক রাজীব হাসান তাকে ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

আদালতের পরিদর্শক মেজবাহ উদ্দিন গণমাধ্যমকে বলেন, হেফাজত নেতার পক্ষে ফারুক আহমেদসহ কয়েকজন আইনজীবী রিমান্ড বাতিল চেয়ে আবেদন করেন। শুনানি শেষে তা নাকচ করে বিচারক ৭ দিনের রিমান্ডের আদেশ দেন।

মুফতি ইলিয়াস হামিদীকে গ্রেপ্তারের বিষয়টি নিশ্চিত করেন র‌্যাব-২’র অপস কর্মকর্তা এএসপি আবদুল্লাহ আল মামুন। গণমাধ্যমকে তিনি জানান, নাশকতার পরিকল্পনা, ধর্মীয় উগ্রবাদিতা ছড়ানো, ষড়যন্ত্র ও অপপ্রচার চালানোর অভিযোগে গত সোমবার রাতে কেরাণীগঞ্জের ঘাটারচর থেকে হামিদীকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ ঘটনায় র‌্যাব-২’র ওয়ারেন্ট কর্মকর্তা জামাল উদ্দিন বাদি হয়ে মুফতি ইলিয়াসসহ মোট ৯ জনের বিরুদ্ধে কেরানীগঞ্জ মডেল থানায় মামলা করেছেন।

মামলার বরাত দিয়ে কেরানীগঞ্জ মডেল থানার পরিদর্শক (তদন্ত) কাজী রমজানুল হক গণমাধ্যমকে জানান, হেফাজত নেতা মামুনুল হক পরিচালিত ‘তারবিয়াতুল উম্মাহ মাদ্রাসা’য় কয়েকজন বসে রাষ্ট্রের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র চলছে এমন খবর পেয়ে র‌্যাবের একটি দল সেখানে অভিযান চালায়। অভিযানের খবর পেয়ে অন্যরা পালিয়ে গেলেও মুফতি ইলিয়াস হামিদীকে গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়।

গ্রেপ্তারের পর পলাতক ৮ জনের পরিচয় দেন ইলিয়াস হামিদী। তিনি জানান, বাকিরা জামাত শিবিরসহ সমমনা বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের। পলাতকরা হলেন- শরীফ হোসাইন (৩৫), জাকির হোসেন (২৯), শফিকুল ইসলাম (২৮), ইউসুফ (৫২), ফজলুর রহমান (৪০), হেলেন (৫২), মামুন (৪০) ও ইউনুস (৫৫)। ঢাকা, ব্রাহ্মণবাড়িয়াসহ দেশের বিভিন্নস্থানে যে নাশকতা করা হয়েছ তার প্রত্যেকটিতে তিনি মদদ দিয়েছেন বলে এজাহারে উল্লেখ করা হয়েছে। ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে তাদের ব্যাপক নাশকতার পরিকল্পনা ছিল বলে গ্রেপ্তারের পর মুফতি ইলিয়াস স্বীকার করেছেন।