দেশে মহামারি করোনাভাইরাসে আক্রান্ত গত ২৪ ঘণ্টায় আরো ৯৬ জনের মৃত্যু হয়েছে। যা দেশে একদিনে ভাইরাসটিতে সর্বোচ্চ মৃত্যুর রেকর্ড। এ নিয়ে ভাইরাসটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৯ হাজার ৯৮৭ জনে।

এছাড়া একই সময়ে ভাইরাসটিতে আক্রান্ত হিসেবে শনাক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ১৮৫ জন। এতে মোট আক্রান্তের সংখ্যা বেড়ে হয়েছে ৭ লাখ ৩ হাজার ১৭০ জন। এর আগে গত ৭ এপ্রিল দেশে একদিনে সর্বোচ্চ ৭ হাজার ৬২৬ জনের দেহে করোনা শনাক্ত হয়। বুধবার (১৪ এপ্রিল) স্বাস্থ্য অধিদপ্তার থেকে পাঠানো করোনাবিষয়ক নিয়মিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

বিজ্ঞপ্তিতে বলা হয়েছে, গত ২৪ ঘণ্টায় করোনামুক্ত হয়েছেন ৫ হাজার ৩৩৩ জন। এ পর্যন্ত মোট সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৯১ হাজার ২৯৯ জন।

এ সময়ে ২৪ হাজার ৯৯৫ জনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। পরীক্ষা করা হয়েছে ২৪ হাজার ৮২৫টি। দেশে এ পর্যন্ত মোট নমুনা পরীক্ষা করা হয়েছে ৫০ লাখ ৯৫ হাজার ২৯৯টি। গত ২৪ ঘণ্টায় নমুনা পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ২০ দশমিক ৮৯ শতাংশ। মোট পরীক্ষার তুলনায় শনাক্তের হার ১৩ দশমিক ৮০ শতাংশ।

গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৬ জনের মধ্যে ঢাকা বিভাগেরই রয়েছেন ৬৮ জন। এছাড়া চট্টগ্রামে ১২, খুলনায় ৫, বরিশালে ৫, সিলেটে ৩ এবং ময়মনসিংহ বিভাগের ৩ জন রয়েছেন।

এদিকে, গত ২৪ ঘণ্টায় মারা যাওয়া ৯৬ জনের মধ্যে ৫৯ জন পুরুষ, বাকি ৩৭ জন নারী। এদের মধ্যে ৯৪ জন হাসপাতালে এবং বাড়িতে দুজন মারা গেছেন। এ পর্যন্ত ভাইরাসটিতে মোট মারা যাওয়া ৯ হাজার ৯৮৭ জনের মধ্যে পুরুষ ৭ হাজার ৪৩৫ জন এবং নারী ২ হাজার ৫৫২ জন।

বয়সভিত্তিক বিশ্লেষণে দেখা গেছে, মারা যাওয়া ৯৬ জনের মধ্যে ৫৫ জনেরই বয়স ৬০ বছরের বেশি। এছাড়া ৫১ থেকে ৬০ বছরের ২৫, ৪১ থেকে ৫০ বছরের ১২, ৩১ থেকে ৪০ ও ৩১ থেকে ৩০ বছরের দুজন করে রয়েছেন।

এর আগে, দেশে গত বছরের ৮ মার্চ প্রথম করোনা রোগী শনাক্ত হয়। এর ১০ দিন পর ১৮ মার্চ প্রথম মৃত্যুর খবর আসে। কয়েক মাস সংক্রমণ ও মৃত্যুর হার ঊর্ধ্বগতিতে থাকার পর অনেকটা নিয়ন্ত্রণে চলে আসে। চলতি বছরের শুরুতে করোনাভাইরাসের প্রকোপ অনেকটা নিয়ন্ত্রণে থাকলেও মার্চ মাস থেকে তা শুধুই বাড়ছে। বিশেষজ্ঞরা এটাকে বাংলাদেশে করোনার ‘দ্বিতীয় ঢেউ’ বলছেন।

করোনা সংক্রমণ মারাত্মক আকার ধারণ করায় বুধবার (১৪ এপ্রিল) থেকে সর্বাত্মক লকডাউন ঘোষণা করেছে সরকার।