লালমনিরহাটের হাতীবান্ধা উপজেলায় সোনালী ব্যাংকের ভিতরে থেকে নাজমা আক্তার নামে এক শিক্ষিকার ৪০ হাজার টাকা ছিনতাই হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। বিষয়টি ব্যাংক ম্যানেজেরকে বললে উল্টো ঐ শিক্ষিকাকেই জোড় পূর্বক ব্যাংক থেকে বের করে দেন বলে জানা গেছে। ভিতর বাহিরে সিসি ক্যামেরা না থাকায় ব্যাংকের নিরাপত্তা নিয়ে জনমতে নানান প্রশ্ন দেখা দিয়েছে।

বৃহস্পতিবার (৬ মে) সকাল ১১টার দিকে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকের ভিতরে ক্যাশ কাউন্টারের নিকট এ ঘটনাটি ঘটে। এদিকে ব্যাংকের ভিতরে বা বাইরে নেই কোনো সিসি ক্যামেরার ব্যবস্থা। ফলে ক্ষুদ্ধ ব্যাংকে আসা সর্বস্তরের গ্রাহকরা।
ভুক্তভোগী ওই শিক্ষিকা উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ভুটিয়া মঙ্গল এলাকার রেজাউল করিমের স্ত্রী এবং গোতামারী মডেল সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষিকা।

জানা গেছে, বৃহস্পতিবার সকালে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকে টাকা উত্তোলনের জন্য যান নাজমা আক্তার। ব্যাংকের ক্যাশ কাউন্টার থেকে ৪০ হাজার টাকা উত্তোলন করার পরপরই অপরিচিত এক ব্যক্তি জোরপূর্বক তা ছিনিয়ে নিয়ে পালিয়ে যায়। ফলে বাকরুদ্ধ হয়ে দাঁড়িয়ে থাকেন ঐ শিক্ষিকা।

তবে টাকা উত্তোলনের সময় শিক্ষিকার পাশে লম্বা ধরনে, মাথায় ছোট চুল, গায়ের রং শ্যামলা, নীল রঙের শার্ট ও কালো জিন্স পড়া এক ব্যক্তি দাড়িয়ে ছিলেন বলে শিক্ষা জানান। ঐ ব্যক্তি নাজমা আক্তারকে টাকা গুলো গুনে নিতে বললে তিনি গুনতে হবে না বলে জানান। এ সময় কোন কিছু বুঝে ওঠার আগেই ওই ব্যাক্তি নাজমা আক্তারের হাত থেকে জোড় পূর্বক টাকা নিয়ে সটকে পড়েন। আর সেখানে ওই ব্যক্তিকে দেখতে পাননা।

এ বিষয়ে শিক্ষিকা নাজমা আক্তারের কাছে জানতে চাইলে তিনি কান্না জড়িত কন্ঠে বলেন, আমি যখনই টাকা উত্তোলন করলাম, তখনই ওই ব্যক্তি বললো টাকাটি গুনে নেন। আমি বললাম গুনতে হবে না। তারপর উনি আবার বললো ছেড়া আছে কিনা দেখেন। আমি তাতেও রাজি হয়নি। কিন্ত উনি জোড় করে টাকাটা হাত থেকে নিয়ে নিমিষেই চলে গেলে। আমি কিছুই বুঝে উঠতে পারি নাই। এ সময় আমি যে চিৎকার করবো সে শক্তিও হারিয়ে ফেলি। আমি দ্রুত ম্যানেজারের কাছে যাই, বিষয়টি অবগত করলে তিনি উল্টো আমাকে গালমন্দ করে ব্যাংক থেকে জোড়পুর্বক বের করে দেন।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা সোনালী ব্যাংকের ম্যানেজার আসাদুজ্জামান রাজু বলেন, ঐ মহিলা নিজেই সেই লোককে টাকা দিয়েছে। এখানে আমাদের কোনো করনীয় নাই। ব্যাংকের সিসি ক্যামেরা আছে কিনা? জানতে চাইলে তিনি বলেন, ব্যাংকে কোনো সিসি ক্যামেরা নেই। সিসি ক্যামেরার জন্য উর্দ্ধতন কর্তৃপক্ষকে বেশ কয়েকবার বলা হলেও এখানো কোনো ব্যবস্থা নেননি তারা।

এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা এরশাদুল আলম বলেন, বিষয়টি জানা নেই। তবে অভিযোগ পেলে, তদন্ত করে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।