গাজীপুরে ভ্রাম্যমাণ আদালতের সামনেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েছেন এক মুক্তিযোদ্ধা। সোমবার সন্ধ্যায় মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকৈর বটতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। ঘটনা তদন্তের জন্য অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেটকে নির্দেশ দিয়েছেন জেলা প্রশাসক।

নিহতের নাম- বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন (৭৬)। তিনি গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকৈর বটতলা এলাকার মৃত দেউরি ফকিরের ছেলে।

জানা গেছে, গাজীপুর মহানগরীর গাছা থানাধীন উত্তর খাইলকৈর বটতলা এলাকার মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিনের ছেলে মতিউর রহমানের মালিকানাধীন সাজিম সোয়েটার কারখানার শ্রমিকরা স্বাস্থ্য বিধি না মেনে এবং মাস্ক পরিধান না করে কাজ করছে। এসংবাদ পেয়ে গত ২৬ জুন সকাল ১০টার দিকে গাজীপুরের নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাব্বির আহমেদের নেতৃত্বে একটি ভ্রাম্যমাণ ওই কারখানায় গিয়ে অভিযোগের সত্যতা পান। স্বাস্থ্যবিধি না মেনে কারখানা পরিচালনা করায় আদালত কারখানাটি বন্ধ করে দেন। পরবর্তীতে সোমবার সন্ধ্যায় ওই ম্যাজিষ্ট্রেট একই কারখানায় গিয়ে দেখতে পান অনুমতি না নিয়েই কারখানার মালিক কারখানাটি চালু করেছেন। এ বিষয়ে কারখানার মালিকের সঙ্গে কথা বলছিলেন নির্বাহী ম্যাজিষ্ট্রেট সাব্বির আহমেদ। কারখানায় ভ্রাম্যমাণ আদালতের উপস্থিতির কথা শুনে বীর মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন ঘটনাস্থলে যান। সেখানে ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলার সময় তার সামনেই মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিন হঠাৎ অসুস্থ্য হয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। স্বজনরা তাকে উদ্ধার করে স্থানীয় তায়েরুন্নেছা মেমোরিয়াল মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে মুক্তিযোদ্ধা কফিল উদ্দিনকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

নিহতের ছেলে ও কারখানার মালিক মতিউর রহমান জানান, ম্যাজিষ্ট্রেটের সঙ্গে কথা বলার সময় বাবার হার্ট অ্যাটাক হলে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন। পরে তাকে হাসপাতালে নেওয়া হলে চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

গাজীপুরের জেলা প্রশাসক এসএম তরিকুল ইসলাম এ ব্যাপারে জানান, এটি একটি দূঃখজনক ঘটনা। তবে এ ঘটনা তদন্তের জন্য গাজীপুরের অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিষ্ট্রেট (এডিএম) আবুল কালামকে সোমবারই পত্রের মাধ্যমে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। আগামী তিন কার্যদিবসের মধ্যে তদন্ত প্রতিবেদন দাখিলের জন্য তাকে বলা হয়েছে। তদন্ত প্রতিবেদন হাতে পেলেই প্রকৃত ঘটনা জানা যাবে।