গাজীপুরের শ্রীপুরে বুধবার দিনে-দুপুরে দোকানে ঢুকে এক ব্যবসায়ীকে গলা কেটে ও ছুরিকাঘাতে খুন করেছে এক ছিনতাইকারী। খুন করে পালিয়ে যাওয়ার সময় স্থানীয়রা ওই ছিনতাইকারীকে আটক করেছে। পরে তাকে উত্তম মধ্যম দিয়ে পুলিশে সোপর্দ করা হয়েছে।

নিহত ব্যবসায়ীর নাম- মোখলেসুর রহমান (৩২)। তিনি ময়মনসিংহ জেলার ভালুকা থানাধীন জামিরাপাড়া গ্রামের আফাজ উদ্দিনের ছেলে।

আটক ছিনতাইকারীর নাম- রুবেল (৩০)। সে ঝালকাঠি জেলার রাজাপুর উপজেলার নৈকাটি লেবুবুলি এলাকার সামসুল হকের ছেলে।

প্রত্যক্ষদর্শী ও শ্রীপুর থানার পরিদর্শক (তদন্ত) মাহফুজ ইমতিয়াজ ভূঁইয়া জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর পৌরসভার মাস্টারবাড়ীর লিচু বাগান এলাকায় জাহাঙ্গীর সুপার মার্কেটে দোকান ভাড়া নিয়ে অনলাইনের বিকাশ ও মুদি ব্যবসা করতেন মোখলেসুর রহমান। লকডাউনের কারণে পার্শ্ববর্তী অন্য দোকানগুলো বন্ধ থাকলেও মোখলেস তার দোকানের একটি সাটার খুলে গোপনে ব্যবসা করছিলেন। বেলা সাড়ে ১১টার দিকে অভিযুক্ত যুবক রুবেল ওই দোকানে আসে। এসময় সে গত তিনদিন যাবত না খেয়ে রয়েছে বলে ওই দোকানে প্রবেশ করে। দোকানে বসে কৌশলে দোকানের ক্যাশ বাক্স থেকে টাকা ও মোবাইল ফোন হাতিয়ে নিতে থাকে। এতে বাধা দিলে রুবেল তার সঙ্গে থাকা ছুরি দিয়ে ব্যবসায়ী মোখলেসুর রহমানকে গলা কেটে ও এলোপাতাড়ি ছুরিকাঘাত করে টাকাসহ দুটি মোবাইল লুট করে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। ছিনতাইকারীর ছুরিকাঘাতে ব্যবসায়ী মোখলেসুর রহমান ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এসময় ডাক চিৎকার শুনে আশপাশে থাকা লোকজন দৌড়ে এসে ওই যুবককে হাতেনাতে আটক করে। উত্তেজিত এলাকাবাসি আটক ছিনতাইকারীকে উত্তম মধ্যম দেয়। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌছে ছিনতাইকৃত টাকা-মোবাইল ও হত্যাকান্ডে ব্যবহৃত ছুরিসহ ওই ছিনতাইকারীকে আটক করে। এসময় নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃত রুবেল পুলিশের কাছে ব্যবসায়ী মোখলেসকে খুন করার কথা স্বীকার করেছে। গত কয়েকদিন আগে রুবেল ঝালকাঠি থেকে গাজীপুরে শ্রীপুরের খাজা বেকারীর পাশের তার এক আতœীয়/বন্ধুর বাড়িতে বেড়াতে আসে। তার বিরুদ্ধে মাদক সেবন ও ছিনতাইসহ সন্ত্রাসী কর্মকান্ডের অভিযোগ রয়েছে। এব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।