গাজীপুরের শ্রীপুরে বিরোধপূর্ণ জমির কাগজ চুরি করতে বাঁধা দেওয়ায় ছাত্রলীগ নেতাকে ইট দিয়ে মাথা ও শরীর থেতলিয়ে এবং কুপিয়ে খুন করেছে প্রতিপক্ষরা। এ ঘটনায় জড়িত ৫জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। রবিবার বিকেলে গাজীপুর পুলিশ ব্যুরো অব ইনভেস্টিগেশন (পিবিআই) এর পুলিশ সুপার মোহাম্মদ মাকছুদের রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- শ্রীপুর পৌরসভার বেড়াইদেরচালা গ্রামের মৃত হাবিবুল্লাহ ক্বারীর ছেলে আবুল কালাম (৪১), শামসুদ্দিনের ছেলে শফিকুল ইসলাম (৩২), আব্দুল জলিলের ছেলে নাজির হোসেন জয় (২৯), আব্দুর রশীদের ছেলে সাইফুল ইসলাম (৪০) ও কালিয়াকৈর উপজেলার আজহারুল হকের ছেলে হারুন-অর রশিদ (৩৮)।

পিবিআই এর সুপার জানান, গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বেড়াইদেরচালা এলাকার মৃত আবুল হোসেনের ছেলে সৈয়দ মাহবুব হোসেন মাসুম আহমেদ (২৭) ছাত্রলীগের শ্রীপুর উপজেলা শাখার সভাপতি প্রার্থী ছিলেন। মাছুম সদ্য ময়মনসিংহ পলিটেকনিক ইন্সটিটিউট থেকে উত্তীর্ণ হয়েছেন। মাছুমের পরিবারের সঙ্গে প্রতিবেশী মারুফ ও জহিরের জমি সংক্রান্ত মামলা চলমান রয়েছে। তাদের পরামর্শে অভিযুক্ত কালাম অন্যান্য অভিযুক্তদের নিয়ে ঈদুল আজহার দিবাগত ভোর রাতে (২২ জুলাই) মাছুমের বাসার তালা ভেঙ্গে ঘরে ঢুকে। তারা বাড়ির অন্যান্য ঘরের দরজা বাইরে থেকে সিটকিনি আটকিয়ে রাখে। দুর্বৃত্তরা ঘর থেকে বিরোধপূর্ণ সম্পত্তির মূল কাগজপত্র চুরির চেষ্টা করে। এসময় কোরবানীর পশুর চামড়া বিক্রি শেষে বাসায় ফিরেন মাছুম। মাছুম তাদেরকে দেখে ফেলায় তারা দৌড়ে পালানোর চেষ্টাকালে একজনকে ধরে ফেলেন। এসময় অন্যান্য অভিযুক্তরা মাছুমের মাথা ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে ইট দিয়ে এবং ভোঁতা অস্ত্র দিয়ে উপর্যুপরি আঘাত করে পালিয়ে যায়। এলাকাবাসি গুরুতর আহত মাছুমকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে নিয়ে যায়। হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শুক্রবার মাছুম মারা যান। লোমহর্ষক এ ঘটনায় শ্রীপুর থানায় মামলা দায়ের করা হয়। এঘটনায় চারজনকে পিবিআই এবং একজনকে র‌্যাব-১ এর সদস্যরা বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃতদের মধ্যে মোঃ আবুল কালাম শনিবার আদালতে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়েছে। এরপ্রেক্ষিতে লোমহর্ষক ও ক্লুলেস এ খুনের রহস্য উন্মোচন হয়েছে।