পাবনায় গত ২৪ ঘণ্টায় করোনা ভাইরাস ও উপসর্গে সর্বোচ্চ ১৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। এ সময়ে ১২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে। রোববার দুপুর থেকে সোমবার দুপুর পর্যন্ত তারা মারা যান।
পাবনা জেনারেল হাসপাতালের পরিসংখ্যানবিদ সোহেল রানা জানান, একদিনে হাসপাতালে করোনা ও উপসর্গে মারা গেছেন ৯ জন। রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে মারা গেছেন ৫ জন। এছাড়াও সদরের আরও ৩জন উপসর্গে মারা গেছেন। তারা পাবনা, রাজশাহী ও ঢাকাতে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান।
উপসর্গে মৃতরা হলেন- পাবনা সদরের নুরপুরের রফিকুলের স্ত্রী রাফিয়া (২০), সাঁথিয়ার সুলতান মাহমুদের ছেলে আব্দুল ওহাব (৭৫), আতাইকুলার গৌরিপুরের আহমেদ প্রামানিকের ছেলে আমজাদ (৫৫), বেড়া উপজেলার মোহাম্মদ আলীর স্ত্রী মনোয়ারা (৭০), সদরের ঘরনাগড়া গ্রামের আব্বাস আলীর স্ত্রী রুপসি (৬০), সুজানগরের ভিটাভিলার আব্দুল জাবেদ আলীর ছেলে আব্দুর রহমান (৬০), ঈশ্বরদীর পুর্বটেংরীর আব্দুল জব্বার প্রামানিকের ছেলে বীর মুক্তিযোদ্ধা ইব্রাহিম প্রামানিক (৭৮), সদরের হেমায়েতপুরের রাশিদা (৫৫) । এছাড়াও জয়পুরহাটের তিলোকপুরের শাহেদ মন্ডলের ছেলে সিরাজুুল ইসলাম (৭০), সাংবাদিক মির্জা আজাদের বোন পারভীন মির্জা (৪৫), করোনায় আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুবরণ করেছেন। এদিকে রাজশাহী মেডিকেল কলেজ (রামেক) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় করোনায় ২ জন ও উপসর্গে মারা যাওয়া ৩ জনের জনের নাম-পরিচয় পাওয়া যায়নি।
পাবনা সিভিল সার্জন অফিসের পরিসংখ্যান কর্মকর্তা অংশুপ্রতীম বিশ্বাস জানান, ২৪ ঘণ্টায় পাবনার ৭৩৩ হাজার নমুনা পরীক্ষা করে ১২৩ জনের শরীরে করোনা শনাক্ত হয়েছে।

পাবনা জেনারেল হাসপাতালের কোভিড ইউনিটের প্রধান চিকিৎসক ডা. সালেহ মোহাম্মদ আলী জানান, করোনা সংক্রমণ হ্রাস পাচ্ছে। পাশাপাশি রোগী ভর্তিও কমে গেছে। তবে গুরুতর অবস্থায় কিছু রোগী ভর্তি হয়েছিল। তাদের মধ্যে করোনা ও করোনা উপসর্গে ৯ জন মারা গেছেন। সাধারণ মানুষ যার যার অবস্থান থেকে যদি সচেতন হন তাহলে করোনার সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।