খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় (কুয়েট) এর পুরকৌশল বিভাগের জেষ্ঠ অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ হারুনুর রশীদের বিরুদ্ধে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। উনি করোনাকালীন দীর্ঘ্য প্রায় দেড় বছর অনলাইনে কোন প্রকার ক্লাসনেননি। যার ফলে ছাত্র ছাত্রীরা যথেষ্ট ক্ষতির সম্মুখীন হয়েছে। উক্ত শিক্ষক করোনা মহামারী সময়কালে সকল প্রকার এডাকেমিক কার্যক্রম অনলাইনে অনুষ্ঠিত হবে সংক্রান্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক কাউন্সিলের নেয়া সিদ্ধান্ত উপেক্ষা করেছেন। এই ব্যাপারে প্রশাসনকে বেশ কয়েকবার অবহিত করা হলেও এখন পর্যন্ত উনার বিরুদ্ধে কোন প্রকার কারন দর্শান নোটিশ কিংবা শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেয়া হয়নি। ছাত্রছাত্রীদের পাঠদানে অপুরনীয় ক্ষতি হওয়া সত্ত্বেও প্রশাসনের এই নিরবতা কোনভাবেই কাম্য নয় বলে ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীরা মনে করেন। বিশ্ববিদ্যালয়ের অডিন্যান্স এবং চাকুরিবিধি অনুযায়ী অনেক আগেই উক্ত শিক্ষকের বেতনভাতা বন্ধ হওয়ার কথা থাকলেও উনি নিয়মিত বিশ্ববিদ্যালয়ের সকল প্রকার সুবিধাদি ভোগ করছেন। এর আগেও উক্ত অধ্যাপকের বিরুদ্ধে ক্লাসে অনিয়মিত উপস্থিতি, সিলেবাসের আংশিক পাঠদান করে সেমিষ্টারের অনেক ক্লাস বাকি থাকতেই ক্লাসশেষ করাসহ নানা অভিযোগ আছে। উক্ত অধ্যাপক অনলাইন ক্লাস না নিয়ে বিভিন্ন সরকারী এবং ব্যক্তিগত কনসালটেন্সি কাজ করে বেড়াচ্ছেন।

বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে গেলে ওনার পোর্টফলিওতে (বায়োডাটা) কোন প্রকার ইনফরমেশন দেখা যায় না।একজন জেষ্ঠ অধ্যাপকের ইনফরমেশন পেজ ফাঁকা থাকাটা অনেককিছুই ইঙ্গিত করে। উপরন্ত, এররকম ফাঁকা পেইজ বিশ্ববিদ্যালয়ের সুনামকে ক্ষুন্ন করছে। ভুক্তভোগী শিক্ষার্থীগন এবং সংশ্লিষ্ট বিভাগের অনেক শিক্ষকই মনে করেন যে বিশ্ববিদ্যালয়ের উচিত অনতিবিলম্বে একটি তদন্ত কমিটি গঠনকরে এরকম অনিয়মিত  শিক্ষকদের বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করা।