ছোট লক্ষ্য গড়েও অস্ট্রেলিয়াকে বড় ব্যবধানে হারিয়েছে টাইগাররা। এই হারে নিজেদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড ভেঙেছে অজিরা। সাকিব আল হাসান ও সাইফউদ্দিনের দুর্দান্ত বোলিংয়ে ৬১ রানে গুটিয়ে যায় সফরকারীরা। ৬০ রানের জয়ে সিরিজ ৪-১ এ শেষ করে বাংলাদেশ। এতেই নিজেদের সর্বনিন্ম রানের রেকর্ড ভাঙে অস্ট্রেলিয়া। এর আগে ২০০৫ সালে ইংল্যান্ডের সঙ্গে ৭৯ রানে গুটিয়ে যাওয়াটা ছিল এতদিন সফরকারীদের সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।

আজ সোমবার মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে টসে জিতে আট উইকেটে ১২২ রান তোলে বাংলাদেশ। জবাবে ১৩ ওভার ৪ বলে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৬১ রানে থামে অজিরা। বল হাতে একাই চার উইকেট নেন সাকিব। এ ছাড়াও তিনটি উইকেট নেন সাইফউদ্দিন।

লক্ষ্য ছোট, যা করার বোলারদেরই করতে হবে। দলের প্রয়োজন বুঝে তাই করলেন স্পিনার নাসুম আহমেদ। তিন রানে ওপেনার ড্যান ক্রিস্টিয়ান এবং ১৭ রানের মাথায় মিচেল মার্শকে ফেরান তিনি। দুই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যান শুরুতে ফেরায় চাপে পড়ে সফরকারীরা। অন্যদিনের চেয়ে ভিন্ন রুপে ফেরা ম্যাথু ওয়েডকে বোল্ড করেন সাকিব। ২২ বলে ২২ করে ফেরেন তিনি।

দলীয় ৪৮ রানের মাথায় ম্যাকডরমেটকে (১৭) সাজঘরে ফেরান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। নবম ওভারের তৃতীয় বলে রিয়াদকে ছয় মারেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে এই বিধ্বংসী ব্যাটসম্যানকে ফেরান তিনি। ১১তম ওভারে বল হাতে জোড়া আঘাতহানেন সাইফউদ্দিন। অ্যালেক্স ক্যারি ও মোয়াসেস হেনরিকসকে ফেরান তিনি।

পরের ওভারে এসে অ্যাস্টন টার্নাকে নিজের দ্বিতীয় শিকার করেন সাকিব। এতেই প্রথম বাংলাদেশি ও বিশ্বের দ্বিতীয় অলরাউন্ডার হিসেবে ব্যাট হাতে ১ হাজার রানের পাশাপাশি ১০০ উইকেট শিকার করেন সাকিব। ১৩তম ওভারে এসে অ্যাস্টন আগারকে নিজের তৃতীয় শিকার বানান সাইফউদ্দিন। শেষের দিকে বাকি দুই উইকেট শিকার করে অজিদের রেকর্ড সবচেয়ে কম রানে আটকে দেন সাকিব। তার ৪ উইকেট শিকারের দিনে ৬০ রানের জয় পায় বাংলাদেশ। নির্ধারিত ওভারের ৬ ওভার দুই বল বাকি থাকতেই ৬১ রানের গুটিয়ে যায় সফরকারীরা।

এর আগে, পুরো সিরিজে ওপেনিং জুটির ব্যর্থতায় শেষ ম্যাচে পরিবর্তন এনে দারুণ শুরু করে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের পরিবর্তে নাঈম শেখের সঙ্গে ক্রিজে আসেন শেখ মেহেদী হাসান। এই জুটিতে মাত্র ২৭ বলে ৪২ রান তোলে স্বাগতিকরা। পরে মেহেদীকে(১২) ফিরিয়ে এই জুটি ভাঙেন অ্যাস্টন টার্নার।

খানিক সময়ের ব্যবধানে বাজে শটে ফেরেন নাঈম। উইকেটে থিতু হয়েও রিভার্স সুইপ খেলতে গিয়ে অ্যাস্টন আগারের ক্যাচবন্দি হন তিনি। ২৩ বলে ২৩ করা নাঈমকে ফেরান ড্যান ক্রিস্টিয়ান। তৃতীয় ম্যাচের মতো ব্যর্থ হয়ে ফেরেন সাকিব। ২০ বলে মাত্র ১১ রান করে টি-টোয়েন্টি ক্যারিয়ারের প্রথম লেগ বিফোরের ফাঁদে পড়েন তিনি।ব্যাট হাতে সম্ভাবনাময় শুরু করে মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। ছয় মেরে আশা জাগালেও ১৪ বলে ১৯ করে সাজঘরের পথ ধরেন তিনি।

ছয়ে এসে আজও ব্যর্থ হন নুরুল হাসান। নাথান এলিসের বল ব্যাটের কানায় করে স্ট্যাম্পে নিয়ে এসে বোল্ড হন তিনি। ১৩ বলে করেন মাত্র ৮ রান। ব্যর্থ হন আফিফ হোসেনও। পরের বলে রানআউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন সাইফউদ্দিন। নির্ধারিত ওভারে আট উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশ সংগ্রহ করে ১২২ রান।