বিশ্বজিৎ দাস হত্যা মামলার যাবজ্জীবন সাজাপ্রাপ্ত আসামি ইমরান হোসেনকে (৩২) ফরিদপুরের সদরপুর থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। মঙ্গলবার (১০ আগস্ট) রাত ১১টার দিকে পুলিশ তাকে গ্রেপ্তার করে।

ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে সদরপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সুব্রত গোলদার বলেন, সদরপুর পুলিশের কাছে গোয়েন্দা তথ্য ছিল পলাতক ইমরান একটি সামাজিক অনুষ্ঠানে যোগ দিতে সদরপুরের চর বিষ্ণপুর এসেছেন। এই খবরে পুলিশ ছদ্মবেশে ওই এলাকায় অবস্থান করেন। পরে রাত ১১টার দিকে সদরপুর উপজেলার চর বিষ্ণপুর এলাকার একটি রাস্তা থেকে তাকে গ্রেফতার করেন। ইমরানকে ফরিদপুর আদালতে সোপর্দ করা হবে। পরে ঢাকার সূত্রাপুর থানা পুলিশের কাছে বুঝিয়ে দেওয়া হবে।

জানা গেছে, আট বছর আগে ২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর ঢাকার দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে একটি হত্যা মামলায় তার অনুপস্থিতিতে যাবজ্জীবন সাজা হয় ইমরানের। ওই হত্যা মামলা চলাকালীন থেকেই পলাতক ছিলেন ইমরান। তিনি সেই সময় ছাত্রলীগের একজন কর্মী ছিলেন।

২০১২ সালের ৯ ডিসেম্বর দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে সূত্রাপুর এলাকায় সরকারবিরোধী আইনজীবীদের এক মিছিলে তাড়া করে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় ও কবি নজরুল ইসলাম কলেজের ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। ওই সময় তারা পথচারী লন্ড্রী ব্যবসায়ী বিশ্বজিৎ দাসকে সামনে পেয়ে প্রকাশ্যে নির্মমভাবে কুপিয়ে হত্যা করে। এ ঘটনায় ওই দিনই সূত্রাপুর থানায় মামলা হয়। স্পর্শকাতর হওয়ায় মামলাটি পরে দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনালে স্থানান্তর করা হয়। পুলিশ ২১ জনকে আসামি করে আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দেন।

২০১৩ সালের ৮ ডিসেম্বর দ্রুত বিচার ট্রাইব্যুনাল-৪ এর বিচারক এ বি এম নিজামুল হক এ মামলায় রায় দেন। রায়ে ২১ আসামির মধ্যে আটজনকে মৃত্যুদণ্ড ও ১৩ জনকে যাবজ্জীবন কারাদণ্ড দেন। ওই দিন এ মামলার আট আসামি আদালতে হাজির ছিলেন। বাকি আসামিরা পলাতক ছিলেন।