দেশের প্রথম মেট্রোরেল চলাচলের পরীক্ষণের আনুষ্ঠানিক সূচনা হলো। আজ রোববার দুপুর পৌনে ১২টায় উত্তরায় মেট্রোরেলের জন্য নির্মিত ডিপো থেকে এই চলাচল শুরু হয়। এর আগে বেলা রোববার বেলা ১১টা ৫৮ মিনিটে সবুজ পতাকা নাড়িয়ে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের। এ সময় ঢাকা ম্যাস র‍্যাপিড কোম্পানি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এন এম সিদ্দিক, বাংলাদেশে নিযুক্ত জাপান দূতাবাসের প্রতিনিধি, জাইকার বাংলাদেশ অফিস প্রধান ও মেট্রোরেলের পরামর্শক প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিসহ সংশ্লিষ্ট বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তা উপস্থিত ছিলেন।

ওবায়দুল কাদের বলেন, ‘এটি একটি মাইলফলক। মেট্রোরেল এখন আর স্বপ্ন নয়, এটি দৃশ্যমান বাস্তবতা। সমালোচকরা সমালোচনা ও অপপ্রচার করবে, আমরা জবাব দেবো কাজে। শেখ হাসিনা সরকার কাজেই জবাব দেয়। আমরা মেট্রোরেল, পদ্মাসেতুসহ মেগা প্রজেক্ট দিয়ে জাবাব দিচ্ছি।’ এ সময় মেট্রোরেল লাইন-৬ এর কাজ সার্বিক সম্পন্ন করতে ছয় মাস লাগবে বলে জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি আরও জানান, ছয়টি মেট্রোরেল ২০৩০ সালে শুরু হবে। এর মধ্যে ৩১ জুলাই পর্যন্ত কাজের ৬৮.২৯ শতাংশ অগ্রগতি হয়েছে। উত্তরা থেকে মিরপুর পর্যন্ত কাজের অগ্রগতি ৮৮ শতাংশ।

সবুজ পতাকা নাড়িয়ে মেট্রোরেলের পরীক্ষামূলক আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। স্মৃতিচারণ করে মন্ত্রী বলেন, ‘ডিপো উন্নয়ন কার্যক্রম দেখতে এসে ঝড়ের মুখে পড়ে বৃষ্টিতে ভেজার কারণে তিনদিন জ্বরে ভুগেছি। তবে আজ খুবই ভালো লাগছে, শেখ হাসিনার অবদান, মেট্রোরেল দৃশ্যমান।’

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আগামী বছর তিনটি মেগা প্রজেক্ট উদ্বোধন করবেন বলেও জানান আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক। তিনি বলেন, ‘জুনে পদ্মাসেতু, পরে কর্ণফুলী ট্যানেল, বছর শেষে তরুণ প্রজন্মের স্বপ্নের মেট্রোরেল লাইন-৬ উদ্বোধন হবে।’

বাংলাদেশের জন্য মেট্রোরেল সেবা এই প্রথম। যার পরীক্ষামূলক ট্রেন চলাচল শুরু হলো। তবে এই চলাচল যাত্রীবিহীন। রাজধানীর উত্তরা থেকে পল্লবী পর্যন্ত চারটি স্টেশনের মধ্যে পরীক্ষামূলকভাবে এই ট্রেন চলবে। এই চলাচলকে বলা হচ্ছে ‘পারফরম্যান্স টেস্ট’।