নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে বাংলাদেশ। কিউইদের টি-টোয়েন্টি ইতিহাসের সর্বনিম্ন রানের লজ্জায় ডোবানোর দিনে সাত উইকেটের দুর্দান্ত জয়ের দেখা পেয়েছে টাইগাররা। এর আগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে আটটি টি-টোয়েন্টির সবকয়টিই হেরেছিল মাহমুদউল্লাহ-সাকিবরা।

আজ বুধবার বিকেলে হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শের-ই বাংলা জাতীয় স্টেডিয়ামে টসে জিতে ১৬ দশমিক ৫ ওভারে সবকয়টি উইকেট হারিয়ে ৬০ রান তোলে টম ল্যাথামের দল। জবাবে সাকিব আল হাসানের ২৫ রানের ইনিংসে ভর করে পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই জয়ের বন্দরে পৌঁছে যায় টাইগাররা। ব্যাট হাতে ১৬ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহিম ও ১৪ রানে অপরাজিত ছিলেন মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ।

স্বল্প রান মোকাবিলায় শুরুটা নড়বড়ে হয় বাংলাদেশের। মাত্র সাত রানে দুই ওপেনারকে হারায় স্বাগতিকরা। দ্বিতীয় ওভারের প্রথম বলে এক রান করে ফেরেন নাঈম শেখ। পরের ওভারের পঞ্চম বলে ফেরেন লিটন দাস। তৃতীয় উইকেটের জুটিতে সাকিবের সঙ্গে ধাক্কা কাটিয়ে তোলেন মুশফিকুর রহিম। ৩০ রানের এই জুটি ভাঙেন রচীন রবীন্দ্র। ২৫ রান করে সাজঘরে ফেরেন সাকিব।

শেষের দিকে নতুন ব্যাটসম্যান মাহমুদউল্লাহ রিয়াদকে নিয়ে পাঁচ ওভার বাকি থাকতেই সাত উইকেটের সহজ জয়ের দেখা পায় স্বাগতিকরা। কিউইদের বিপক্ষে প্রথম কোনো টি-টোয়েন্টি ম্যাচে জয়ের দেখা পেল বাংলাদেশ। ব্যাট হাতে ১৬ রানে অপরাজিত মুশফিকের সঙ্গী রিয়াদ ছিলেন ১৪ রানে অপরাজিত।

এর আগে, ফিল্ডিংয়ে এসে দারুণ শুরু করে টাইগার স্পিনাররা। ইনিংসে প্রথম ওভারে বল হাতে ব্রেক থ্রো এনে দেন শেখ মেহেদী। পরের ওভারে নাসুম উইকেট না পেলেও তৃতীয় ওভারে বল করতে এসেই উইল ইয়াংকে ফেরান সাকিব। চতুর্থ ওভারে বল হাতে শুরুতে কলিন ডি গ্র‌্যান্সহাম ও শেষ বলে টম ব্লান্ডেলকে ফেরান নাসুম।

মাত্র ৯ রান তুলতেই চার উইকেট হারিয়ে বিপাকে পড়া দলের দায়িত্ব পড়ে অধিনায়ক টম ল্যাথাম ও হেনরি নিকোলসের কাঁধে। দারুণভাবে ঘুরে দাঁড়ানোর চেষ্টা চালিয়ে যান তারা। ৪১ বলে ৩৪ রানের জুটি গড়ে মাঠ ছাড়েন ল্যাথাম। মোহাম্মদ সাইফউদ্দিনের বলে নাসুমের তালুবন্দি হন তিনি। ২৫ বলে এক চারে ১৮ রান তোলেন কিউই অধিনায়ক।

পরের ওভারে বল করতে এসে নতুন ব্যাটসম্যান কোল ম্যাকননিকে ফেরান সাকিব আল হাসান। শট মিডউইকেটে থাকা মুশফিকুর রহিমের তালুবন্দি হন তিনি। তিন বল খেলেও শূন্য রানে ফেরেন এই ব্যাটসম্যান। সাইফের পরের ওভারে ফেরেন নিকেলস। লং অনে দাঁড়িয়ে এবারও বলটি তালুবন্দী করেন মুশফিক। উইকেটের পেছনে না থাকলেও ম্যাচের আলো তার দিকেই ছিল বেশ।

ম্যাচের ১৫তম ওভারে প্রথম মুস্তাফিজের হাতে বল তুলে ধরেন অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ। বল হাতে প্রথম বলেই আস্থার প্রতিদান দেন তিনি। আজাজকে ফিরিয়ে কিউইদের ব্যাটিং লাইনআপের শেষটাও ভাঙেন তিনি। একই ওভারের পঞ্চম বলে ডগ ব্রেসওয়েলকে ফেরান তিনি। মাত্র ৫ রান করে ফেরেন তিনি। নিজের পরের ওভারে এসে কিউইদের দশম উইকেট তুলে নেন মুস্তাফিজ। জ্যাকব ডাফি ফিরিয়ে ৬০ রানে অল আউট করে বাংলাদেশ।