অদ্য ১৫:০০-১৭:৪০ ঘটিকায় বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ ময়মনসিংহ জেলার আয়োজনে ধর্মীয় সংখ্যালঘু নারীদের উত্তরাধিকার বিষয়ক মতবিনিময় সভা ময়মনসিংহ শহরের দূর্গাবাড়ি পূজামন্ডপে অনুষ্ঠিত হয়।

ক। প্রধান অতিথি- ছবি বিশ্বাস,
সাবেক সংসদ সদস্য, নেত্রকোনা-১
খ। সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য, সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ।
গ। প্রধান বক্তা- দিপালী চক্রবর্তী, সাধারণ সম্পাদক, মহিলা ঐক্য পরিষদ।
ঘ। বিশেষ অতিথি- গীতা বিশ্বাস,
সহ-সভাপতি, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ।
ঙ। ডা শিলা সেন, সভাপতি,
বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ, ময়মনসিংহ।
চ। শিউলি রানী বিশ্বাস, সাধারণ সম্পাদক, বাংলাদেশ মহিলা ঐক্য পরিষদ, ময়মনসিংহ।
ছ। পুলক ঘটক, সাধারণ সম্পাদক, হিন্দু আইন সংস্কার বাস্তবায়ন পরিষদ।

ছবি বিশ্বাস:
বাংলাদেশে সংখ্যালঘু নারীদের উত্তরাধিকার আইন সংস্কার সময়ের দাবী। এভাবে নারীদের অধিকার থেকে বঞ্চিত করে একটি কমিউনিটি অগ্রসর হতে পারে না। আইন মন্ত্রীসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ করবো অতি শীঘ্রই বৈষম্যমূলক উত্তরাধিকার আইন সংস্কার করে সংখ্যালঘু নারীর অধিকার ফিরিয়ে দিন।

সুপ্রিয়া ভট্টাচার্য্য:
বাংলাদেশের প্রতিটি জেলায় সংখ্যালঘু নারীদের ভেতর সচেতনতা সৃষ্টি করতে আমরা নিয়মতান্ত্রিক আন্দোলন চালিয়ে যাবো। আজ এখানে সমবেত হওয়ার উদ্যেশ্য হলো ময়মনসিংহের সংখ্যালঘু নারীদের আন্দোলনে প্রবল মাত্রায় সম্পৃক্ত করা। ময়মনসিংহকে সংখ্যালঘু নারীদের উত্তরাধিকার বুঝে পাওয়ার আন্দোলনে বড় ঘাটি হিসেবে গড়ে তুলতে হবে।

দিপালী চক্রবর্তী:
সনাতন শাস্ত্রে নারীদের উত্তরাধিকার প্রদানে কোন বাঁধা নেই। কিন্তু শাস্ত্রের ভুল ব্যাখ্যা টেনে একটি সনাতন প্রতিক্রিয়াশীল গোষ্ঠী নারীদের উত্তরাধিকার প্রদানের বিরোধিতা করে আসছে। যুক্তি তর্কে না পেরে এই গোষ্ঠী এখন আমাকে সহ হিন্দু আইন সংস্কারের পক্ষালম্বনকারীদের ব্যক্তি আক্রমণ করছে। মামলা দিয়ে ভয় দেখানোর চেষ্টা করছে। আমি পরিষ্কার ভাষায় বলতে চাই, মামলা দিয়ে নারীদের অধিকার আদায়ের আন্দোলন দমিয়ে রাখা যাবে না।