খাগড়াছড়ির মহালছড়ি উপজেলার মাইসছড়িতে ভূমি বিরোধ নিয়ে পাহাড়ি-বাঙালি উভয়ে পাল্টাপাল্টি বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে। ১০ অক্টোবর রোববার সকাল সাড়ে ১০ টায় মাইসছড়িতে পৃথক পৃথক ভাবে পাহাড়ি ও বাঙালি উভয়ে অভিযোগ পাল্টা অভিযোগ করে বিক্ষোভ সমাবেশ ও মানববন্ধন কর্মসূচী পালন করেছে। পাহাড়িদের পক্ষে মাইসছড়ি এলাকাবাসীর ব্যানারে মানিকছড়িতে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন কর্মসূচী চলাকালে বক্তারা অভিযোগ করে বলেন, মহালছড়ি উপজেলাধীন মাইসছড়ি ইউনিয়নের ৩নং ওয়ার্ডের মানিকছড়ি ও নুনছড়ি মধ্যবর্তী ৫ একর নামক এলাকায় পাহাড়িদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জমি পাকুজ্যাছড়ি গুচ্ছ গ্রামের ২০ পরিবার বাঙালি জোরপূর্বক দখল করেছেন। এ পর্যন্ত পাহাড়িদের ব্যক্তি মালিকানাধীন জায়গার উপড় বাঙালিরা জোরপূর্বক ২৫টি বাড়ি নির্মাণ করেছেন বলে অভিযোগ করেন বক্তারা। এসময় বক্তব্য রাখেন, সাবেক ইউপি সদস্য সন্তোষময় চাকমা, ও সাবেক মহিলা ইউপি সদস্য মল্লিকা চাকমা প্রমূখ।

অন্যদিকে মাইসছড়ি বাজারে বাঙালিদের নিজস্ব জায়গায় নির্মানাধীন বসত ঘর রাতের আঁধারে ভেঙে দেওয়া, প্রাণনাশের হুমকি, দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনী ও স্থানীয় এলাকার গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গের নাম জড়িয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে এবং মিথ্যা বানোয়াট গুজব ছড়ানোর প্রতিবাদে বিক্ষোভ ও মানববন্ধন করেছে পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ ও সচেতন নাগরিক সমাজ। এ সময় বক্তব্য রাখেন, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর জেলা সভাপতি ইঞ্জিনিয়ার আবদুল মজিদ, পার্বত্য মহিলা পরিষদের সভাপতি সালমা আহমদ মৌ, পার্বত্য চট্টগ্রাম নাগরিক পরিষদ এর জেলা সাংগঠনিক সম্পাদক শাহাদাত হোসেন, ছাত্রনেতা মো: কায়েস, সচেতন নাগরিক সমাজের আজিজ মেম্বার, ফজলুর রহমান, আনোয়ার হোসেন, মহর আলী প্রমূখ।
বক্তারা বলেন, এই এলাকায় ভুমি বিরোধের জটিলতা নিয়ে পাহাড়ি বাঙালি দীর্ঘদিনের সমস্যা। বাঙালিরা অভিযোগ করেন, পুনর্বাসিত বাঙালিদেরকে সরকার হতে দেয়া কবুলিয়তের জায়গায় বসতঘর নির্মাণ করতে গেলে পাহাড়িরা বাঁধা দেয় এবং নির্মানাধীন বসত ঘর ভেঙে দেয় আর জীবন নাশের হুমকি দিয়ে থাকে। তবে, মানব বন্ধনে উভয় পক্ষের বক্তারা ভুমি বিরোধ নিরসনে প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন।

 

মহালছড়ি(খাগড়াছড়ি) প্রতিনিধি