গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় গলায় ফাঁস লাগানো এক নারী গার্মেন্টসকর্মী সহ দুইজনের ঝুলন্ত লাশ বুধবার সকালে উদ্ধার করেছে পুলিশ। নিহতরা হলো- গাজীপুরের শ্রীপুর থানাধীন বাগমারা এলাকার হাবিবুর রহমানের ছেলে সোহেল (২২) এবং নেত্রকোনার বারহাট্টা থানার বড়গাঁও এলাকার রবিনের স্ত্রী ও মৃত জাহাঙ্গীরের মেয়ে শিরিন আক্তার (২০)। এদের মধ্যে সোহেলের লাশ সদর থানার নোয়াপাড়া পাতারটেক এলাকার কাঁঠাল গাছের মগডাল থেকে ও শিরিন আক্তারের লাশ বাসন থানার চান্দপাড়া এলাকার একটি বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।

জিএমপি’র সদর থানার এস.আই. সানির হাসান খান ও এলাকাবাসি জানান, গাজীপুর মহানগরীর সদর থানার নোয়াপাড়া পাতারটেক এলাকায় খালা মোর্শেদার বাড়িতে ছোটবেলা থেকে থাকতো সোহেল। সম্প্রতি সে নেশাসক্ত হওয়ায় তাকে গ্রামের বাড়ি শ্রীপুরে পাঠিয়ে দেওয়া হয়। বুধবার সকাল ৮টার দিকে খালার বাড়ির পাশর্^বর্তী কাঁঠাল গাছের মগডালে রশি দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলতে দেখে স্থানীয়রা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের সহায়তায় নিহতের লাশ গাছ থেকে নামিয়ে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করে। পরিবারের সঙ্গে অভিমান করে সে আত্মহত্যা করেছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।

এদিকে জিএমপি’র বাসন থানার ওসি মালেক খসরু খান জানান, মহানগরীর বাসন থানাধীন চান্দপাড়া এলাকায় ভাড়া বাসায় থেকে স্থানীয় এক গার্মেন্টস ফ্যাক্টরীতে চাকুরি করতো শিরিন আক্তার। বুধবার সকালে বাসার বারান্দায় ওড়না দিয়ে গলায় ফাঁস লাগানো অবস্থায় তার লাশ ঝুলতে দেখে তার অপর দু’রুমমেটসহ প্রতিবেশীরা। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে।

উভয় ঘটনায় নিহত দুইজনের লাশ ময়না তদন্তের জন্য শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে।