২০২১ সালে বিশ্বের ক্ষমতাধর ১শ’ নারীর তালিকায় ৪৩তম স্থানে রয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এর আগে ২০২০ সালে ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় ৩৯তম স্থানে ছিলেন তিনি। মঙ্গলবার (০৭ ডিসেম্বর) রাজনীতি, মানবসেবা, ব্যবসা-বাণিজ্য ও গণমাধ্যম খাতে নেতৃস্থানীয় ভূমিকা নারীদের মাঝ শীর্ষ ১শ’ জনকে বেছে তালিকা প্রকাশ করে বিশ্বখ্যাত মার্কিন সাময়িকী ফোর্বস।

শেখ হাসিনা সম্পর্কে ফোর্বস লিখেছে, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে দীর্ঘসময় ধরে প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বে থাকা শেখ হাসিনা ওয়াজেদ চতুর্থ মেয়াদে দায়িত্ব পালন করছেন। চতুর্থ মেয়াদে জয়ী হয়েছেন তিনি, যা তার মেয়াদেই টানা তৃতীয়বার। ২০১৮ সালের ৩০ ডিসেম্বরের নির্বাচনে সংসদের ৩০০ আসনের মধ্যে ২৮৮টিতে জয়লাভ করে তার দল আওয়ামী লীগ।

ফোর্বস আরো লিখেছে, এবারের মেয়াদই নিজের জন্য শেষ হিসেবে মনে করেন শেখ হাসিনা। এই মেয়াদে জনগণের খাদ্য নিরাপত্তা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্যসেবা প্রাপ্তিতে গুরুত্ব দেওয়ার পরিকল্পনা করেছেন তিনি। ‌শেখ হাসিনার চলমান লড়াই বাংলাদেশে শক্তিশালী গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করছে। বাংলাদেশে নির্বাচনে ভোটারদের দমনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন তিনি ও তার দল।

২০০৪ সাল থেকে প্রতি বছর বিশ্বের ক্ষমতাধর নারীদের তালিকা প্রকাশ করে আসছে ফোর্বস। এবারের তালিকায় ৪০ প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও), ১৯ বিশ্ব নেতা ও একজন ইমিউনোলজিস্ট রয়েছেন। এক দশকের বেশি সময় পর এবারই প্রথম নতুন প্রভাবশালী নারী বেছে নিয়েছে ফোর্বস।

এবার আমাজনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) জেফ বেজোসের সাবেক স্ত্রী, সমাজসেবক ও লেখক ম্যাকেঞ্জি স্কট ফোর্বসের শীর্ষ ক্ষমতাধর নারী নির্বাচিত হয়েছেন। দাম্পত্য জীবনের অবসানের পর ২০১৯ সালে আমাজনের ২৫ শতাংশ শেয়ারের মালিক হন তিনি। বর্তমানে বিশ্বের তৃতীয় ধনী নারী ম্যাকেঞ্জি স্কট। জার্মান চ্যান্সেলর অ্যাঞ্জেলা মেরকেল এবার প্রথমবারের মত শীর্ষস্থান হারিয়েছেন। গত বছরও তিনি এই তালিকার শীর্ষস্থানে ছিলেন।

ফোর্বসের তালিকায় দ্বিতীয় স্থানে রয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের প্রথম কৃষ্ণাঙ্গ নারী ভাইস-প্রেসিডেন্ট কমলা হ্যারিস। তবে গত বছর ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ক্রিশ্চিন লাগার্দ দ্বিতীয় স্থানে থাকলেও এবার তৃতীয় স্থানে রয়েছেন তিনি। এছাড়া বিল গেটসের সাবেক স্ত্রী মেলিন্ডা ফ্রেঞ্চ গেটস ফোর্বসের ক্ষমতাধর নারীর তালিকায় পঞ্চম স্থানে আছেন। ভারতের অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামন আছেন ৩৭তম স্থানে। গত বছর এই তালিকায় ৪১তম স্থানে ছিলেন তিনি। নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জেসিন্ডা আর্ডেন আছেন ৩৪তম স্থানে।