দেশে করোনাভাইরাস আক্রান্তের সংখ্যা তীব্র গতিতে বাড়ছে। এ অবস্থায় দেশের হাসপাতালগুলোতে রোগীর চাপও বাড়বে বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক। তিনি বলেন, আক্রান্তদের চিকিৎসায় আগাম প্রস্তুতি হিসেবে আরও ২০ হাজার শয্যা প্রস্তুত রাখতে বলা হয়েছে।

আজ বুধবার বিকেলে রাজধানীর বিসিপিএস মিলনায়তনে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে তিনি এসব কথা বলেন। মন্ত্রী বলেন, ‘হাসপাতালগুলো এখন শয্যা খালি থাকলেও আগামী চার/পাঁচ দিনের মধ্যেই পরিস্থিতি পাল্টে যাবে। হাসপাতালগুলো রোগীতে পূর্ণ হতে শুরু করবে।’

জাহিদ মালেক বলেন, ‘দেশে গতকাল শনাক্তের হার যেখানে ছিল ৯ শতাংশে, তা আজ সেটা ১১ শতাংশে উঠেছে। গত ১০-১৫ দিন আগেও শনাক্ত রোগী দুই থেকে আড়াইশ জন থাকলে এখন সেটি তিন হাজারের কাছাকাছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘এক সপ্তাহ আগেও হাসপাতালগুলোতে গড়ে রোগী আড়াইশর মতো রোগী ছিল, যা এখন হাজার হয়েছে। যা আরও বাড়বে। এতে করে মৃত্যুও বাড়বে। আবারও চিকিৎসকদের সেবা দিতে হিমশিম খেতে হবে। এটা বাড়লে বেকায়দায় পড়তে হবে।’

‘আমরা চাই আমাদের পরিস্থিতি যেন আমেরিকা ও ইউরোপের মত না হয়, সেজন্য ১১ দফা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সরকার। যা আগামীকাল থেকে কার্যকর হবে’ যোগ করেন স্বাস্থ্যমন্ত্রী।

সংক্রমণের ঊর্ধ্বগামীতার মধ্যেই আন্তর্জাতিক বাণিজ্য মেলা ও সিটি কর্পোরেশন নির্বাচন প্রশ্নে স্বাস্থ্যমন্ত্রী জাহিদ মালেক বলেছেন, ‘আমরা সরকারকে সব ধরনের জনসমাগম ও সভাসমাবেশ নিয়ন্ত্রণ করতে বলেছি। কিন্তু স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় তো শুধু পরামর্শ আর নির্দেশনাই দিতে পারে, এর বেশি কিছু করার সুযোগ নেই।’