বাংলাদেশের প্রতি বছর পেঁয়াজের চাহিদা প্রায় ২২ লাখ মেট্রিক টন। কিন্তু আমাদের দেশে বছরে গড়ে মোট পেঁয়াজ উৎপাদন হয় ১৯.৫৪ লাখ মেট্রিক টন। দেশে মোট উৎপাদিত পেঁয়াজের প্রায় ৩০-৪০ ভাগ নষ্ট হয়ে যায় ফলন পূর্ব ও পরবর্তী নানা রোগের কারণে। ফলে দেশের চাহিদা মেটাতে প্রতি বছর প্রায় ৮-১০ লাখ মেট্রিক টন পেঁয়াজ বিদেশ থেকে আমদানি করতে হয়, যার বাজার মূল্য প্রায় ৪ হাজার কোটি টাকা। ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন কারণে পেঁয়াজকে পচনের হাত থেকে রক্ষা করা গেলে বিদেশ হতে পেঁয়াজ আমদানি করতে হবে না। এতে দেশের বিপুল পরিমাণ অর্থ সাশ্রয় করা সম্ভব হবে। পেঁয়াজের ফলন পূর্ব ও পরবর্তী বিভিন্ন প্রধান প্রধান রোগ ও অন্যান্য কারণে পেঁয়াজ যেন নষ্ট হয়ে না যায় সেজন্য প্রযুক্তি উদ্ভাবন ও সম্প্রসারণের ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। এ লক্ষ্যে ইতোমধ্যেই প্রকল্প গ্রহণ করা হয়েছে।

বৃহষ্পতিবার বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে (বারি) অনুষ্ঠিত “পেঁয়াজের ফলন পূর্ব ও পরবর্তী প্রধান প্রধান রোগের প্রাদুর্ভাব এবং তাঁর ব্যবস্থাপনা” শীর্ষক দিনব্যাপী প্রারম্ভিক কর্মশালায় এ তথ্য জানানো হয়েছে। বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে এ কর্মশালার উদ্বোধন করেন।

বারি’র পরিচালক (গবেষণা) ড. মো. তারিকুল ইসলাম এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় গেস্ট অব অনার হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি গবেষণা ফাউন্ডেশন (কেজিএফ) এর নির্বাহী পরিচালক ড. জীবন কৃষ্ণ বিশ্বাস। এতে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বারি’র পরিচালক (সেবা ও সরবরাহ) ড. মো. কামরুল হাসান, পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. রীনা রানী সাহা, কেজিএফ’র সিনিয়র স্পেশালিস্ট (ফিল্ড ক্রপ) ড. নরেশ চন্দ্র দেব বর্মা এবং কেজিএফ’র পরিচালক (ক্রপ এন্ড ন্যাচারাল রির্সোস) ড. মো. আককাছ আলী। অনুষ্ঠানে স্বাগত বক্তব্য রাখেন বারি’র উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব¡ বিভাগের মুখ্য বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রধান ড. মো. মতিয়ার রহমান এবং মূল প্রবন্ধ উপস্থাপন করেন উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব¡ বিভাগের ঊর্ধ্বতন বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা ও প্রকল্পের প্রিন্সিপাল ইনভেস্টিগেটর ড. মো. মনিরুল ইসলাম।

বারি’র উদ্ভিদ রোগতত্ত্ব¡ বিভাগের আয়োজনে এবং কেজিএফ এর ‘প্রিভিল্যান্স অব মেজর প্রি এন্ড পোস্ট-হারভেস্ট ডিজিজ অব অনিয়ন এন্ড দেয়ার ম্যানেজম্যান্ট’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালা বারি’র সেমিনার কক্ষে অনুষ্ঠিত হয়। কর্মশালায় বারি’র বিভিন্ন বিভাগ ও কেন্দ্রের ঊর্ধ্বতন বিজ্ঞানীবৃন্দ এবং কেজিএফ এর কর্মকর্তাবৃন্দ অংশগ্রহণ করেন।