যশোর শহরের আর এন রোডের ব্যবসায়ী মোঃ মহিউদ্দীন খান, পিতাঃ হাজী আলতামাস খান , সাং- ৭১/৭২ অম্বিকা বসুলেন, আর এন রোড , থানাঃ কোতয়ালী, পোস্ট: যশোর- ৭৪০০, জেলাঃ যশোর অন্তর্গত আর এন রোড এর নিম্ন তপশিল বর্ণিত মহিদ অটোস নামক দোকানে ১৯৭২ সাল হইতে মটর পার্টস এর ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছে, উক্ত দোকান ঘরটি ১৯৭২ সালে তাহার নিকট আত্মীয় জনাব নাসির উদ্দিন জামাল এর নিকট হইতে তৎকালীন ১০০০- (এক হাজার) টাকা প্রদান করিয়া পজেশন ক্রয় করা হয়। যেহেতু বর্নিত দোকান ঘরের মালিক উক্ত জনাব নাসির উদ্দিন জামাল ক্রয়কারির নিকট আত্মীয় ছিলেন সে কারনে কোন প্রকার লিখিত চুক্তিনামার পরিবর্তে মৌখিক চুক্তি ভিত্তিতে নিম্ন তপশিল বর্নিত দোকান ঘরে মটর পার্টস-এর ব্যবসা পরিচালনা চলমান থাকে। পরবর্তীকালে উক্ত দোকান ঘরের মালিক বর্নিত জনাব নাসির উদ্দিন জামাল একটি লিখিত চুক্তিনামা সম্পাদন করিবার সিদ্ধান্ত গ্রহন করেন এবং বর্নিত জনাব নাসির উদ্দিন জামাল এর কথা অনুযায়ী নন-জুডিসিয়াল অলিখিত ষ্ট্যাম্পে চুক্তি সম্পাদনের পূর্বেই ক্রয়কারির সহি-স্বাক্ষর প্রদান করা হয়। পরবর্তীকালে প্রিন্ট কপি তে দেখা জায় যে, উক্ত চুক্তিনামায় “দোকান ঘরের পজিশন ক্রয়ের চুক্তিনামার” পরিবর্তে সাধারণ “দোকানঘর ভাড়া চুক্তিনামা” লিখিত হইয়াছে যদিও উক্ত চুক্তিনামায় ১০০০/= (এক হাজার) টাকা প্রদানের কথা উল্লেখ আছে।

পরবর্তীকালে নিম্ন তপসিল বর্ণিত দোকান ঘরের মালিক উক্ত জনাব নাসির উদ্দিন জামাল কে চুক্তিপত্রে দোকান ঘরের পজিশন উল্লেখ না করার কারন জিজ্ঞাসা করলে তিনি প্রকাশ করেন যে, যেহেতু তুমি আমার নিকটাত্মীয় সে কারনে আমি সিদ্ধান্ত গ্রহণ করিয়াছি যে, নিম্ন তপশিল বর্নিত দোকাঘরটি তোমাকে দান করিব সে কারনে জটিলতা পরিহার্থে পজিশন ক্রয় চুক্তিনামার পরিবর্তে সাধারণ দোকানঘর ভাড়া চুক্তিনামা উল্লেখ করা  হয়েছে ।

পরবর্তীকালে ১৯৮১ সালে একটি নতুন চুক্তি সম্পাদন হয় সে অনুযায়ী জনাব মহিউদ্দীন নিয়মিত দোকান ভাড়া প্রদান করিয়া রশিদ গ্রহণ করিয়া আসিতে থাকাকালে জানিতে পারেন যে তাহার দোকান ঘরটি সহ সিরাজুল ইসলাম শান্তির দোকান ঘর ২টি বাইতুল করম জামে মসজিদের নামে দান করা হইয়াছে অথচ জনাব মহিউদ্দীন থানকে কথিত দানের বিষয়ে কোন কিছু অবগত করা হয় নাই, পরবর্তীকালে বাইতুল করম মসজিদ কমিটি জনাব মহিউদ্দীন খানকে বিভিন্নভাবে উচ্ছেদের চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়াছে তাহার নিকট হইতে নিয়মিত ভাড়া গ্রহণ করিয়া রশিদ প্রদান করিয়া আসিতে থাকে।

বর্নিত বায়তুল করম জামে মসজিদ কমিটি মসজিদের উন্নয়নের কথা বলিয়া ক্রয়ক্রিত দোকান ঘরটিসহ জনাব সিরাজুল ইসলাম শান্তির ঘর ভাঙ্গিয়া ৩টি দোকানে তৈরী করার কথা বলে তদানুযায়ী উক্ত বাইতুল করম জামে মসজিদ কমিটি প্রথমে সিরাজুল ইসলাম শান্তির সহিত চুক্তিবদ্ধ হয়েন। এবং পরবর্তীকালে তাহার দোকান নির্মাণ করিয়া তাহাকে দখল হস্তান্তর করেন। তৎপর বাইতুল করম জামে মসজিদ কর্তৃপক্ষ করোনা কালীন মহামারীর সময় ইং ২৫/০৩/২০২০ তারিখে একটি দোকান ভাড়া চুক্তিনামা সম্পাদন করেন এবং এবং উক্ত চুক্তিনামার শর্তানুযায়ী দোকান ঘর পুনঃনির্মাণ করিয়া ৬ মাসের মধ্যে হস্তান্তর করার কথা থাকলেও বর্নিত বায়তুল করম জামে মসজিদ কমিটি দীর্ঘ ১ বছর অতিবাহিত হইবার পরও নিম্ন তপসিল বর্নিত দোকান ঘরটি মোঃ মহিউদ্দীন খান কে হস্তান্তর করে নাই। মোঃ মহিউদ্দীন খান বিভিন্ন সময় বিভিন্ন লোক মারফত নিম্ন তপসিল বর্নিত দোকান ঘরটি হস্তান্তরের কথা বললেও বর্নিত কমিটি কর্তৃপক্ষ তাহাতে কোন কর্ণপাত করেন নাই। পরবর্তীতে মোঃ মহিউদ্দীন খান বিভিন্ন লোক মারফত উক্ত মসজিদ কমিটির সেক্রেটারী জনাব মনসুর আলী ও কোষাধ্যক্ষ এম. এ আজিজকে দোকান ঘরের দখল বুঝিয়ে দেয়ার কথা বলিলে উক্ত কমিটির সেক্রেটারী জনাব মুনসুর আলী বলেন দোকান ঘর থেকে উচ্ছেদের জন্য ইং ২৫/০৩/২০২০ তারিখে উক্ত চুক্তিনামাটি প্রতারনা মূলকভাবে সম্পাদন করা হইয়াছে। প্রকৃতপক্ষে আমাকে কোন দোকান ঘর বরাদ্ধ প্রদান করা হইবে না, বিভিন্ন সুত্রে জানা যায় উক্ত বাইতুল করম মসজিদের সেক্রেটারী জনাব মুনসুর আলী ও কোষাধ্যক্ষ জনাব আবদুল আজিজ বিপুল পরিমান অর্থ গ্রহণ করিয়া উক্ত দোকান ঘরটি অন্যত্র হস্তান্তর করিবার চেষ্টা করিতেছেন এবং ইতি মধ্যে তাহার উক্ত অর্থের বেশিরভাগ অংশ গ্রহন করিয়াছেন এইস্থলে উল্লেখ থাকে যে ইতিপূর্বে জনাব মুনসুর আলী নিম্ন তপশিল বর্নিত দোকান ঘরটি ভাড়া নেওয়ার জন্য বিভিন্নভাবে চেষ্টা করিয়া ব্যর্থ হইয়া শত্রুতা বশত জনাব আব্দুল আজিজের সহিত একত্রিত হয়ে উক্ত দোকান ঘরটি অন্যত্র হস্তান্তর করিতেছেন।

মোঃ মহিউদ্দীন খান আর এন রোডের একজন পুরাতন মটর পার্টস ব্যবসায়ী এবং প্রায় ৫০ বছর যাবত আর এন রোডে মটর পার্টসের ব্যবসা পরিচালনা করিয়া আসিতেছেন এবং উক্ত ব্যবসা পরিচালনার মাধ্যমে জীবিকা নির্বাহ করিয়া থাকেন। বর্তমানে মোঃ মহিউদ্দীন খান এর বয়স ৭৫ হৃদরোগসহ বিভিন্ন রোগে আক্রান্ত এবং ২০০৫ সালে বাইপাস সার্জারী হইয়াছে। বর্তমানে তিনি তপশিল বর্ণিত দোকান ঘরটি না পাওয়ার কারনে অসহায় অবস্থায় দিন যাপন করিতেছেন।