পাবনায় নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বাংলা চলচ্চিত্রের কিংবদন্তি মহানায়িকা সুচিত্রা সেনের ৮ম প্রয়াণ দিবস পালিত হয়েছে। দিনটিকে স্মরণ করে সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িতে স্থানীয় সাংস্কৃতিক সংগঠন সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংসদ ও চলচ্চিত্র উদযাপন পরিষদ পুষ্পামাল্য অর্পণ ও স্মরণ সভার আয়োজন করে।

১৭ জানুয়ারী (সোমবার) দুপুরে পাবনা শহরের হেমাসাগর লেনে তার পৈত্রিক বাড়িতে সুচিত্রা সেনের ম্যুরালে পুষ্পার্ঘ অর্পণ করেন স্থানয়ি সাংস্কৃতিক কর্মীরা। পরে অনুষ্ঠিত হয় স্মরণ সভা। স্মরণসভার শুরুতে সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ পরিষদের সদ্য প্রয়াত সভাপতি সাইদুল হক চুন্নুর অকাল মৃত্যুতে শোক জানিয়ে তার আত্মার মাগফেরাত কামনা করা হয়। এ সময় উপস্থিত ছিলেন সুচিত্রা সেন স্মৃতি সংরক্ষণ সংসদের নেতৃবৃন্দনকমরেড জাকির হোসেন, আখিনূর ইসলাম রেমন, কামাল সিদ্দিকী, জিকে সাদী, রেজাউল করিম মনি, কাজী বাবলা, মুস্তাফিজুর রহমান রাসেল, নাজনীন খান কেয়া ইসলাম, স্বর্নালী বেগম, রনি ইমরানসহ সংগঠনের অন্যান্য সদস্যরা।

এ সময় সুচিত্রা সেনের পৈত্রিক বাড়িটি উদ্ধারের দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও এখনো সেখানে স্মৃতি সংগ্রহশালা গড়ে না ওঠায় ক্ষোভ প্রকাশ করেন বক্তারা। জেলা প্রশাসনের তত্ববধানে থাকা এই বাড়িটি দীর্ঘদিন ধরে সংস্কারের অভাবে পর্যটন বিমুখ হচ্ছে। আগত দর্শনার্থী ও সাস্কৃতি কর্মীদের প্রাণের দাবি ছিলো এটি একটি আধুনিক সংগ্রহ শালাসহ দৃষ্টিনন্দন স্থানে রুপান্তর করার। তবে আমলা তান্ত্রিক জটিলতার কারনে এখনও সুচিত্রা সেনের এই পৈত্রিক বাড়িটি স্মৃতি সংগ্রহশালা করা হয়নি। তাই অতিদ্রুত এই স্থানটিকে সংস্কারসহ পর্যটন আকৃষ্ট করা জন্য সকল ধরনের উন্নয়ন কাজ করা দাবি জানান জেলার সাংস্কৃতিক কর্মীরা।

এই বছরে জেলা প্রশাসন থেকে দিনটিকে স্বরণ করে কোন কর্মসূচি গ্রহণ করা না করায় নিন্দা জানানো হয়। এখন আবার আন্দোলনের সময় এসেছে। বাড়িটি উদ্ধারের সময় যেমন আন্দোলন করা হয়েছে ঠিক তেমনি করেই জেলার সকল সাংস্কৃতি কর্মীদের ঐক্যবদ্ধ করে বাড়িটিকে সংগ্রহশালা করার আন্দোলনে নামবে। তাই দ্রুত স্মৃতি সংগ্রহশালার কাজ শুরু করে সুচিত্রা সেনের স্মৃতি ধরে রাখতে সরকারের প্রতি আহবান জানানো হয়।