মাদারীপুরে ডাকাত দলের সরদার সহ ১৩ জন ডাকাতকে গ্রেফতার করেছে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি)। রোববার দুপুরে জেলা পুলিশ সুপারের কার্যালয়ে এক প্রেস ব্রিফেং এ এসব তথ্য জানান মাদারীপুর পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল। গ্রেফতারকৃত ডাকাতরা হলেন কালকিনি উপজেলার চর ঠেঙ্গামারা এলাকার সোহরাব বেপারীর ছেলে ডাকাত সরদার মনির বেপারী (৪৬), শিবচর উপজেলার মির্জারচর মুন্সীকান্দি এলাকার আবুল হোসেনের ছেলে হাসান মুন্সী( ৩৮) ও একই উপজেলার নলগোড়া এলাকার হালান বেপারীর ছেলে মিজান বেপারী(৪০)। এছাড়া ডাকাতি মামলায় এর আগে আরও ১০জনকে গ্রেপ্তার করে আদালতে প্রেরণ করেছে মাদারীপুর জেলা পুলিশ।

পুলিশ সুপার গোলাম মোস্তফা রাসেল জানান, গত ১১ জানুয়ারি মাদারীপুর ডাসার থানার পূর্ব মাইজপাড়া মনির হোসেনের বাড়িতে, ১৭ই জানুয়ারি একই থানার কর্নপাড়া গ্রামে আবু তালেব মাস্টার, ২২ জানুয়ারী রাতে রাজৈর থানার মুছারকান্দি গ্রামের সোনিয়া আক্তারের বাড়িতে এবং একই রাতে চরমোস্তফাপুর গ্রামের শহীদ মল্লিকের বাড়িতে ডাকাতি সংঘটিত হয়। পরবর্তীতে ভুক্তভোগী পরিবারগুলো ডাসার থানায় ১ টি ডাকাতি, ১ টি দূস্যুতা মামলা ও রাজৈর থানায় ১ টি ডাকাতি মামলা দায়ের করে। ডাকাতি মামলায় তথ্য প্রযুক্তি ব্যবহার করে ডাকাত দলের সদস্য সুমনকে প্রথমে গ্রেফতার করে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দ পুলিশ। সুমন আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দী দেয়। ডাকাত সুমনের দেয়া তথ্য থেকে পাওয়া সূত্রে মাদারীপুর জেলা গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন জায়গায় অভিযান পরিচালনা করে আরো ৯ জন ডাকাত দলের সদস্যদের গ্রেফতার করে। এদের মধ্যে ডাকাত সামাদ ও মিন্টু আদালতে নিজেদের দোষ স্বীকার করে ডাকাত দলের নেতা মনির সহ অন্যান্য সহযোগী ডাকাতদের নাম ঠিকানা প্রকাশ করে বিজ্ঞ আদালতে ১৬৪ধারায় স্বীকারোক্তি মূলক জবান বন্দী দেয়। পরে তাদের দেওয়া তথ্যের ভিত্তিতে সর্বশেষ ১৯ ফেব্রুয়ারী রাতে ডাকাত সরদার মনিরসহ তিনজনকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় ডাকাত হাসানের কাছ থেকে ডাকাতির কাজে ব্যবহৃত ২ টি দেশীয় অস্ত্র উদ্ধার করা হয়। এর মধ্যে ডাকাত সরদার মনির ও হাসান ৩টি মামলায় সরাসরি জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছে। গ্রেফতারকৃত ডাকাতদের আদালতে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার চাইলাউ মারমা, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার লিমন রায়, জেলা গোয়েন্দা পুলিশের ওসি আল মামুন।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।