নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে জেনারেটর বিস্ফোরণে ১০ ঘণ্টার ব্যবধানে দগ্ধ দুই ভাইয়ের চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটের নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউতে) মৃত্যু হয়েছে। নিহতরা হলেন- মো. শামীম মিয়া (৩০), মো. নাজমুল মিয়া (১৮)। এছাড়া দগ্ধ মো. বাশার (২৮) চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

গত রোববার সন্ধ্যা ছয়টার দিকে এ বিস্ফোরণের ঘটনাটি ঘটে। দগ্ধ অবস্থায় তাদের ৩ জনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন অ্যান্ড প্লাস্টিক সার্জারি ইনস্টিটিউটে নিয়ে এলে তাদের ভর্তি করা হয়। বুধবার রাতে নাজমুল ও বৃহস্পতিবার সকালে শামীম মারা যান।

নিহতের সহকর্মী মোঃ শামীম জামান, নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে ফ্রেশ স্টিল এন্ড রিরোলিং মিলস লিমিটেডে কাজ করার সময় বিদ্যুতের লাইনে স্পার্ক হলে জেনারেটর বিস্ফোরণ হয়ে শামীম, নাজমুল, বাসার দগ্ধ হয়। পরে দগ্ধ অবস্থায় তাদের তিনজনকে উদ্ধার করে শেখ হাসিনা জাতীয় বার্নে নিয়ে আসলে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুইজনের মৃত্যু হয়। একজন চিকিৎসাধীন রয়েছে।

নিহতের বোন মোছাঃ কারিমা আক্তার জানান, আমার দুই ভাই নারায়ণগঞ্জের আড়াইহাজারে একটি ফ্রেশ স্টিল মিলস এ কাজ করতেন। দুই ভাই কাজ করার সময় জেনারেটর বিস্ফোরণ হয়ে দুই ভাই দগ্ধ হয়। বুধবার (১১ মে) রাত সাড়ে ১১টার দিকে নাজমুল (ছোট ভাই) মারা যান ও বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে মোঃ শামীম (বড় ভাই) মারা যান। তিনি আরো জানান, আমাদের বাসা নারায়ণগঞ্জ জেলার আড়াইহাজার থানার চামুরকান্দি গ্রামে

বিজ্ঞাপন
নিহতরা দুই ভাই এক বোন। নিহত শামীম এক ছেলের জনক।
শেখ হাসিনা জাতীয় বার্ন ও প্লাস্টিক সার্জারি ইন্সটিটিউটের আবাসিক সার্জন ডা. আইউব হোসেন জানান, আড়াইহাজারের একটি স্টিলমিল থেকে জেনারেটর বিস্ফোরণ হয়ে দগ্ধ তিনজন এসেছিল। নিবিড় পরিচর্যাকেন্দ্রে (আইসিইউ)তে চিকিৎসাধীন অবস্থায় দুই জনের মৃত্যু হয়েছে। মো. নাজমুল মিয়া (১৮) বুধবার রাত সাড়ে ১১টার দিকে আইসিইউতে মারা যান। তার শরীর ৬১ শতাংশ দগ্ধ ছিল, নাজমুলের বড় ভাই মোঃ শামীম মিয়া (২৮) বৃহস্পতিবার (১২ মে) সকাল সাড়ে নয়টার দিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় আইসিইউতে মারা যান। তার শরীর ৪৮ শতাংশ দগ্ধ ছিল। এই ঘটনায় আবুল বাশার (৩০) চিকিৎসাধীন রয়েছে তার শরীর ৩০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তার অবস্থা আশঙ্কাজনক, তাদের সবার শরীরে ইলেকট্রিক বার ছিল।