বগুড়ার বিভিন্ন উপজেলায় অভিযান চালিয়ে গত কয়েকদিনে প্রায় ৫০ হাজার লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করেছে স্থানীয় প্রশাসন। এ সময়ে তাদের থেকে দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

জেলার সদর, কাহালু, গাবতলী, শেরপুর, আদমদিঘি উপজেলায় ব্যবসায়ীদের গুদামে অভিযান চালিয়ে মজুদ করা প্রায় অর্ধলাখ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ এবং প্রায় দুই লাখ টাকা জরিমানা আদায় করা হয়েছে।

ব্যবসায়ীরা গুদামে তেল মজুদ করে পূর্বের দাম ১৬০ টাকা লিটারের তেল বর্তমান বর্ধিত দাম ১৯৮ টাকা দরে বিক্রি করছে।

জানা গেছে, শেরপুর উপজেলা প্রশাসনের অভিযানে গত বৃহস্পতিবার বিকেলে শহরের বারদুয়ারীপাড়া ব্যবসায়ী আনোয়ার হোসেন ফকিরের গোডাউনে মজুদ করে রাখা ৩১ হাজার আট লিটার সয়াবিন তেল ভর্তি ড্রাম পাওয়া গেছে। তথ্য গোপন করে কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে মজুদ করায় ওই ব্যবসায়ীকে ৫০ হাজার টাকা জরিমান করে ভ্রাম্যমাণ আদালত।

অভিযান পরিচালনা করেন সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন। অভিযুক্ত ব্যবসায়ী বেলাল হোসেনের ছেলে আনোয়ার হোসেন ফকির।

সহকারি কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন জানান, ওই ব্যবসায়ী সয়াবিন তেল মজুদ করে রাখলেও তথ্য গোপন করেন। কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে এসব তেল মজুদ করা হয়েছিল। পরে ওই ব্যবসায়ী ৫০ হাজার টাকা জরিমানা দেন এবং ভবিষ্যতে এ ধরনের কাজ করবেন না বলে অঙ্গীকার করেন।

একই দিন সন্ধায় আদমদীঘিতে মজুদ করা এক হাজার ৫০০ লিটার বোতলজাত সয়াবিন তেল জব্দ করেছেন ভ্রাম্যমাণ আদালত। সান্তাহার জয় ট্রেডার্স নামে ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের গুদাম ঘর থেকে এসব তেল জব্দ করেন ভ্রাম্যমাণ আদালতের নির্বাহি ম্যাজিষ্ট্রেট ও সহকারি কমিশনার (ভুমি) মাহবুবা হক। পরে জব্দকৃত বোতলজাত সয়াবিন তেল নির্ধারিত দামে ভোক্তাদের নিকট তাৎক্ষণিক বিক্রি করা হয়।

এছাড়া কাহালু উপজেলা সদরের এক ব্যবসায়ীর গুদাম থেকে পাঁচ হাজার লিটার তেল জব্দ ও এক লাখ টাকা জরিমানা, গাবতলী উপজেলা সদরে পাঁচ হাজার লিটার, বগুড়া সদরের নামাজগড় এলাকার একটি গুদাম থেকে ৬৮৪ লিটার সয়াবিন তেল জব্দ করে পুর্বের নির্ধারিত ১৬০ টাকা লিটার দরে তাৎক্ষণিক ক্রেতাদের মাঝে বিক্রি করা হয়। এসব তেল গত ঈদের ছুটির সময় কালোবাজারীর উদ্দেশ্যে মজুদ করা হয় বলে জানায় প্রশাসন। কিন্তু তেল জব্দ করে বিক্রি এবং জরিমানা আদায় করা হলেও মজুদদারীর অপরাধে তাদের বিরুদ্ধে কোনো মামলা হয়নি।

শেরপুর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাবরিনা শারমিন বলেন, মজুদদারীর আলাদা কোনো আইন নেই। অত্যাবশ্যকীয় পণ্য নিয়ন্ত্রণ আইনে মামলার পর জরিমানা আদায় করা হয়েছে।