চট্টগ্রাম সাগরিকা স্টেডিয়াম থেকে
২৫৮/৪ উইকেট, ম্যাথিউসের ১১৪ রানের অপরাজিত ইনিংসে ভর দিন শেষ করা লঙ্কার ড্রেসিং রুমে কিছুটা হলেও হাসি-খুশি আবহাওয়া ছিল। কাল টেষ্টের দ্বিতীয় দিনের সকালে বাংলাদেশের মিশন থাকবে দ্রুত উইকেট তুলে নেয়া। আর অতিথি দলের টার্গেট উইকেট ধরে রেখে রানের সংখ্যাটা বড় করা।

এই অবস্থায় আজ বিকেলে টেষ্টের প্রথম দিন শেষে আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত হলেন বাংলাদেশ দলের স্পিন কোচ হেরাথ। দলের বোলারদের পারমেন্সে কতটা খুশি এই লঙ্কান কোচ? জানতে চাইলে তিনি সাংবাদিকদের বলেন, ‘বিশেষ করে টেস্ট ম্যাচের প্রথম দিনে বোলাররা যেভাবে করেছে তাতে আমি খুশি। সাকিব ও তাইজুল ভালো বোলিং করেছে। নাঈমও দুই উইকেট নিয়েছে। তিনি গত ১৮ মাসে খুব বেশি ক্রিকেট খেলেননি। তবে তিনি প্রচুর অনুশীলন করছেন। সেক্ষেত্রে, আমি দেখেছি যে তার কিছুটা আত্মবিশ্বাসের প্রয়োজন ছিল। কিন্তু যখন সে প্রথম বলে উইকেটটি পেয়েছিল, তখন তার আত্মবিশ্বাস বেড়ে যায়।’

হেরাথ বলেন,‘আমি সবসময় বিশ্বাস করি যে আমাদের যদি টেস্টে পাঁচজন বোলার থাকে, তাহলে সেটা আমাদের ২০ উইকেট নিতে সাহায্য করবে। এতে অন্যদের জন্য কিছুটা বিশ্রামের সুযোগ তৈরি হয়।’

২৫৮/৪ উইকেটে, এটা কিভাবে দেখছেন? বলেন, ‘এটা একটু সমান পারফরম্যান্স। কিছু কৃতিত্ব শ্রীলঙ্কাকে দেওয়া উচিত। বিশেষ করে এ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস যিনি দুর্দান্ত সেঞ্চুরি করেছেন। তারা ভালো ব্যাটিং করেছে, আর আমরা ভালো বোলিং করেছি।’

লঙ্কান কোচ সাকিব প্রসঙ্গে বলেন,‘আমরা সাকিবের মতো ক্যালিবার খুব বেশি খেলোয়াড়ের মধ্যে পাই না। এমনকি অনুশীলন না করেও, তিনি তার প্রথম বলেই তার যোগ্যতার প্রমান দিয়েছেন। এটা তার আত্মবিশ্বাসের জন্য খুবই ভালো। সে আজ খুব ভালো বোলিং করেছে, সে ছিল সবচেয় মিতব্যয়ী বোলার। সাকিব মাঠে থাকলে আমাদের ভারসাম্য দেয়। অন্যথায়, আমাদের এমন কাউকে খুঁজে বের করতে হবে যে ব্যাট করতে পারে এবং বোলিং করতে পারে। আমি ১০০ শতাংশ আত্মবিশ্বাসী ছিলাম যে সে অনুশীলন ছাডাই খেলতে পারবে।’

স্পিনে বলতে গিয়ে বলেন, ‘সাকিব সহজেই স্লো বোলিং করতে পারেন। তাইজুল তার গতিতেও বেশ পরিবর্তন আনেন। নাঈমকে পরিস্থিতি ও তার ভূমিকা বুঝতে হবে। সে ক্ষেত্রে তাকে উন্নতি করতে হবে। যখন আপনার কাছে নাঈমের মতো বোলার হাতে থাকে, তখন এটি আপনাকে সবসময় অতিরিক্ত সুবিধা দেয় (বিদেশী পরিস্থিতিতে)। ইদানীং মেহেদি হাসান মিরাজ খুব ভালো খেলছে। নাঈম তার সুযোগে ভালো বোলিং করেছে, যা বাংলাদেশ ক্রিকেটের জন্য দুর্দান্ত বিষয় এটি।

প্রতিপক্ষের কালকের মিশন প্রসঙ্গে লঙ্কান কোচ বলেন, ‘তারা ২৫৮/৪, তাই আমি নিশ্চিত আগামীকাল সকালে যত তাড়াতাড়ি সম্ভব আমাদের দুটি দ্রুত উইকেট দরকার। আমরা তাদের ৪০০ রানের নিচে রাখতে চাই, তাই আমাদের তাদের আরও ১২০-১৩০ রানের জন বোল্ড আউট করতে হবে। এছাড়া আমি এ্যাঞ্জেলোকে খুব ভালো করে চিনি। আমরা একসঙ্গে অনেক খেলা খেলেছি। দেশের হয়ে খেলার ক্ষুধা তার সবসময় থাকে। সে ৩৪ বা ৩৬ বছর বয়সী হোক না কেন, তিনি সবসময় একটি চ্যালেঞ্জ খুঁজেন। সত্যি কথা বলতে,শ্রীলঙ্কান হিসেবে এটা ছিল দারুণ এক সেঞ্চুরি। তাদের কাছে এমবুলডানিয়া, মেন্ডিস এবং ধনঞ্জয় ডি সিলভার মতো ভালো স্পিনার রয়েছে, যা তাদের একটি মানসম্পন্ন স্পিন আক্রমণে ভরসা দেয়। আগামীকাল এবং পরশু আমাদের জন্য একটি ভাল চ্যালেঞ্জ হবে।’