কালকিনি থানায় মামলার ১২ দিনেও গ্রেফতার হয়নি আসামীরা। মাদারীপুরের কালকিনি সাহেবরামপুর এলাকায় জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে প্রতিপক্ষের হামলায় গত ৬ মে অসহায় এক পরিবারে নারীসহ কমপক্ষে সাতজন আহত হয়েছেন। খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে পরিস্থিতি শান্ত করেন এবং হামলাকারীদের মধ্যে সৈকত মোল্লা নামের একজন আটক করেন। এর পর ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য নজরুল ইসলাম বাদী হয়ে মৃত খলিল সরদারের ছেলে দুলাল সরদার (৩৮) কে ১ নং ও হাবিব খান (পিতা অজ্ঞাত) কে ২ নং এবং হাবিব খা’র ছেলে রাসেল খা (২৪) কে ৩ নংসহ মোট ৯-১০ জনকে আসামী করে ৬ মে ২০২২ইং কালকিনি থানায় একটি মামলা দায়ের করেন। যার মামলা নং ৬/৭২, তারিখ ৬ মে ২০২২ইং। মামলার ১২ দিন অতিবাহিত হলেও এখনো কেহ গ্রেফতার হয়নি। মামলার ১ ও ২ নং আসামী পুলিশের নাকের ডগা দিয়ে ঘুরছে অথচ পুলিশ দেখেও দেখেনা বলে অভিযোগ করেন বাদীপক্ষ। অন্যদিকে তাদেরকে মামলা তুলে নিতে বিভিন্নভাবে হুমকি ধামকি দিয়ে আসছে। মামলা তুলে না নিলে তারা এলাকা ছাড়া করারও হুমকি দেন। বর্তমানে বাদির পরিবার নিরাপত্তাহিনতায় ভুগছে প্রকাশ করেন মামলার বাদী নজরুল ইসলাম। তিনি বলেন, একটি প্রভাবশালী চক্রের ইন্ধনে দুলাল সরদার গং তাদের উপর হামলা চালিয়েছে। তবে নজরুল ইসলাম ঐ প্রভাবশালী চক্রের সদস্যদের নাম প্রকাশ করতে ভয় পাচ্ছেন।

দীর্ঘদিন ধরে নিজ বসতবাড়ির জমি সংক্রান্ত বিরোধটি ২০১৬ সালে সমাধান হলেও প্রভাশালী একটি চক্রের ইন্ধনে দুলাল সরদার গং ও তার লোকজন মানছেন না। এর আগে ২০১৬ সালের ৫ই আগষ্ট সাহেবরামপুর ইউপি চেয়ারম্যান কামরুল আহসান সেলিম ও ইউপি সদস্য রুহুল আমিন বেপারীসহ মোট ৭ জন মিলে শালিসির মাধ্যমে ৩০০টাকার স্ট্যামে লিখিত রেখে মিমাংসা করে দিলেও ২য় পক্ষ (দুলাল সরদার) তা তোয়াক্কা করছেনা। যার পরিপেক্ষীতে কয়েকদিন পর পর বিরোধটি চরম আকারে ধারন করে।
এ বিষয়ে মামলার তদন্ত অভিসার এসআই লোকমানের কাছে মামলার অগ্রগতি বিষয়ে জানতে চাইলে তিনি বলেন, আসামী একজন গ্রেফতার করেছি বাকি আসামীদের গ্রেফতারের জোর চেষ্টা চলছে। আসামীদের সাথে আপনার সখ্যতার অভিযোগ রয়েছে এ বিষয় আপনার বক্তব্য কি? এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি আইনের লোক, আইনের উর্দ্ধে কেহ নয়। কাজেই আসামীদের সাথে সখ্যতার কোন প্রশ্নই আসে না।
মামলার বাদী নজরুলের কাছে জানতে চাইলে তিনি দ্রুত আসামীদের গ্রেফতার করে আদালতের মাধ্যমে সুষ্ঠ বিচার দাবি করেন।

সাবরীন জেরীন,মাদারীপুর।