আমাদের সামনে পাকিস্তানে যাওয়ার বিকল্প ছিল সে সময়, কিন্তু আমরা ভারতে থাকা পছন্দ করেছিলাম। কেননা, ভারতের স্বাধীনতার জন্য আমরা অনেক বেশি কুরবানি করেছি। এখন আমাদের পাকিস্তানের রাস্তা দেখানো হচ্ছে। যারা দেখাচ্ছে, তারা নিজেরাই সেখানে যেতে পারে।

রোববার জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের (এম) সভাপতি মাওলানা মাহমুদ আসআদ মাদানি দুই দিনের দেওবন্দ বৈঠকের পর সাংবাদিকদের সামনে এই মন্তব্য করেন। দেশের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে জমিয়ত তাদের সংগঠনের সমর্থকদের দিকনির্দেশনা দিতে এই বৈঠকের আয়োজন করে। গোটা ভারত থেকে প্রতিনিধিরা তাতে অংশ নেন।

মাওলানা মাদানি আরো বলেন, স্বাধীনতা সংগ্রামে এই সংগঠনের অবদান ইতিহাসে স্বনির্ভর লেখা রয়েছে। আর স্বাধীনতা সংগ্রামে কারা অংশ নেয়নি আর কারা ‘ইংরেজ প্রভুদের’ কাছে মার্জনা ভিক্ষা করেছিল সেসব ঘটনাও ইতিহাসে লেখা রয়েছে। তাই দেশের মুসলিমরা যেন বর্তমান পরিস্থিতিতে কোনোভাবে হতাশ না হন। যারা ইংরেজ প্রভুদের কাছে ভিক্ষা করেছিল আর যারা বাহাদুরির সাথে জানমাল উৎসর্গ করেছে, তারা কখনোই এক সারিতে থাকতে পারে না। সে কারণে জমিয়ত ঘৃণার মোকাবেলা ভালোবাসার সাথে করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর এটাকে যেন দুর্বলতা বলে মনে করা না হয়।

ভারতের মুসলিমদের প্রাচীন ও বৃহৎ সংগঠন জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দের তরফ থেকে জ্ঞানবাপী মসজিদে বিতর্ক নিয়ে পরামর্শ দেয়া হয়েছিল-মুসলিম যুবকরা যেন কোনো প্রতিক্রিয়া না দেখায়। জমিয়তের ওই সিদ্ধান্ত নিয়ে কেউ কেউ সমালোচনা করেন। সে কারণে দেওবন্দের বৈঠকে তার ব্যাখ্যা দেয় সংগঠনটি। তারা অনুরোধ জানায়, উগ্রবাদীদের প্ররোচনার ফাঁদে যেন পা না দেয় মুসলিমরা।

প্রসঙ্গত, জমিয়তে ওলামায়ে হিন্দ ভারতীয় মুসলমানদের সর্ববৃহৎ পুরোনো প্লাটফর্ম। ব্রিটিশবিরোধী আন্দোলন থেকে এ সংগঠনটির জন্ম। উপমহাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে এ দলটির ব্যাপক অবদান রয়েছে।

মাওলানা মাহমুদ মাদানি ব্রিটিশবিরোধী সংগ্রামের প্রাণপুরুষ সাইয়েদ হুসাইন আহমদ মাদানির দৌহিত্র ও সাইয়েদ আসআদ মাদানির ছেলে।

সূত্র : ইটিভি ভারত ও পুবের কলম