গাজীপুরে পৃথক ঘটনায় ফাঁসিতে ঝুলন্ত এসএসসি পরীক্ষার্থীসহ দুই নারীর লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। সোমবার মহানগরীর সদর থানার হাড়িনাল নোয়াগাঁও এবং বাসন থানার যোগীতলা এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন- গাজীপুর সিটি কর্পোরেশনের সদর থানাধীন হাড়িনাল নোয়াগাঁও এলাকার শহীদুল ইসলামের মেয়ে সাথী (১৭) এবং বাসন থানাধীন যোগীতলা এলাকার অহিদ আলীর স্ত্রী দুই সন্তানের জননী সেতু আক্তার (২৭)। এদের মধ্যে সাথী স্থানীয় এ আর মডেল স্কুলের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী ছিল।

জিএমপি’র সদর থানার এসআই ইমতিয়াজ জানান, মহানগরীর হাড়িনাল নোয়াগাঁও এলাকার সাথী প্রতিদিনের মতো সোমবার সকালে স্থানীয় শিক্ষক ইকবাল হোসেনের কাছে সকাল সাড়ে ৬টায় প্রাইভেট পড়তে যায়। সে এ আর মডেল স্কুলের এবারের এসএসসি পরীক্ষার্থী। প্রাইভেট পড়া শেষে দুই ঘন্টা পর বাসায় ফিরে নিজ কক্ষে ঢুকে দরজা আটকে দেয়। এর ঘন্টাখানেক পর সকাল সাড়ে ৯টার দিকে তার বাবা বাসায় ফিরে সাথীকে ডাকাডাকি করতে থাকে। কিন্তু কোন সাড়া শব্দ না পেয়ে জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে ঘরের আড়ার সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো ফাঁসিতে ঝুলন্ত অবস্থায় সাথীকে দেখতে পায়। তাকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে গেলে সাথীকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক।

এদিকে জিএমপি’র বাসন থানার এসআই মোঃ শফিউল আলম জানান, পারিবারিক নানা বিষয় নিয়ে মহানগরীর যোগীতলা এলাকার অহিদ আলীর সঙ্গে তার স্ত্রী সেতু আক্তারের দাম্পত্য কলহ চলে আসছিল। অহিদ আলী স্থানীয় কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউটে শ্রমিকের কাজ করেন। সোমবার সকাল ৬টার দিকে স্ত্রী ও সন্তানদের বাড়িতে রেখে কর্মস্থলে চলে যান অহিদ আলী। সকাল ৯টা পর্যন্ত সেতুকে দেখতে না পেয়ে বাড়ির লোকজন ডাকাডাকি করতে থাকে। এসময় জানালার ফাঁক দিয়ে উঁকি মেরে ঘরের সিলিং ফ্যানের সঙ্গে গলায় ওড়না পেঁচানো অবস্থায় সেতু আক্তারের লাশ ঝুলতে দেখেন প্রতিবেশীরা।

উভয় ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ নিহতদের লাশ উদ্ধার করে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। তবে আত্মহত্যার কারণে তাদের মৃত্যু হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে।