করোনাভাইরাসের কারণে চীনে কঠোর লকডাউনের মধ্যে অনেক বিদেশি শিক্ষার্থী দেশটি ছাড়তে বাধ্য হন। তবে সংক্রমণ কমে আসায় দীর্ঘ দিন পর বিদেশি শিক্ষার্থীদের আবারো শিক্ষা জীবনে ফেরাচ্ছে চীন। আর এ তালিকায় অগ্রাধিকারের শীর্ষে আছেন বাংলাদেশিরা। সোমবার চীনের বাংলাদেশ দূতাবাসের ভেরিফায়েড ফেসবুক পেজে এক ভিডিও বার্তায় এই তথ্য জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত চীনের রাষ্ট্রদূত লি জিমিং।

লি জিমিং বলেন, চীন ও বাংলাদেশে মহামারি নিয়ন্ত্রণে রয়েছে বলে মনে হচ্ছে, যা আমাদের দুই দেশের জন্য সুখবর। সাংহাইয়ে করোনার সর্বশেষ ওয়েভ বা তরঙ্গের জন্য বিশ্বব্যাপী মনোযোগ আকর্ষণ করেছিল। কিন্তু সেখানেও বর্তমানে প্রতিদিন মাত্র দুই বা তিন ডজন করোনার সংক্রমণ শনাক্ত করা হচ্ছে। ধীরে ধীরে সাংহাই স্বাভাবিক অবস্থায় ফিরে আসছে। সাংহাইয়ের করোনা পরিস্থিতির উন্নয়নের পেছনে রয়েছে বিজ্ঞানসম্মত পদক্ষেপসমূহ এবং এক কার্যকরী কৌশল অবলম্বনের সাফল্য।

রাষ্ট্রদূত বলেন, তথ্য ও পরিসংখ্যান প্রমাণ করেছে যে, এই গতিশীল পন্থা জীবনের অধিকারকে রক্ষা করেছে, যা চীনের জনগণ কর্তৃক সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ মানবাধিকার হিসেবে বিবেচিত হয়। এরই আলোকে আমি আরেকটি সুসংবাদ ঘোষণা করতে চাই যে, চীন বিদেশি শিক্ষার্থীদের চীনে ফেরার অনুমতি দেওয়া শুরু করেছে এবং বাংলাদেশ প্রথম ধাপে রয়েছে। লি জিমিং আরও বলেন, কৌশল অবলম্বন করে করোনার বিরুদ্ধে এই কঠিন যুদ্ধে জয়ী হওয়ার এবং ঐক্যবদ্ধ বৈশ্বিক প্রতিক্রিয়ায় বৃহত্তর অবদান রাখার ব্যাপারে চীনের দৃঢ় আত্মবিশ্বাস রয়েছে।