ড্যারেন স্যামী ক্রিকেট স্টেডিয়ামে দ্বিতীয় টেষ্ট খেলতে নামা অতিথি বাংলাদেশ গতকাল ১ম দিনের তৃতীয় সেশনটা শেষ করতে ব্যর্থ হয়। বড় জুটি গড়তে না পারায় স্কোর ছিল ২৩৪ অলআউট। আজ টেষ্টের দ্বিতীয় দিনের লাঞ্চ পর্যন্ত স্বাগতিকদের স্কোর ১৩৭/৪! অপেক্ষা ছিল কত তাড়াতাড়ি অলআউট হয় স্বাগতিকরা। কিন্তু লাঞ্চের পর দ্বিতীয় দিনের শেষ অবদি হতাশই ছিল বাংলাদেশ বোলারদের ভাগ্যে। ৫ উইকেটে ৩৪০ আর লিড ১০৬ রান। ৬ষ্ঠ ব্যাটসম্যান মায়ার্সের সেঞ্চুরিতে ওয়েন্ট ইন্ডিজ বহুদূর এগিয়ে গেছে।

শেষ টেষ্টে গতকাল প্রথম দিনের শেষ দুই ঘন্টা ওয়েস্ট ইন্ডিজের দুই ওপেনার ব্র্যাথওয়েথ আর ক্যাম্পবেল জুটি উইকেট না হারিয়ে জমা করে ৬৭ রান। বাংলাদেশের স্কোর থেকে ১৬৭ রান পেছনে থেকে দিন শুরু করে দলীয় শত রান অবদি দুই ওপেনার হেসে-খেলে ব্যাট করছিল। মনে হয়েছিল বড় কোন টার্গেট দিতে চলেছে।

কিন্তু বাধা হলেন টাইগার পেসার শরিফুল ইসলাম। ক্যাম্পবেলকে ব্যক্গিত ৪৫ রানের মাথায় পেসার শরিফুুল উইকেটরক্ষক সোহানের হাতে ক্যাচ দিতে বাধ্য করলেন। তবে অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েথ ঠিকই ফিফটি আদায় করে নেন। ১০৭ বল খেলে ৫১ রান করা অধিনায়ক ব্র্যাথওয়েথকে সরাসরি বোল্ড করলেন স্পিনার মিরাজ।দলীয় ১৩১ রানে ২ উইকেটের পতনের পর দলীয় ইনিংস ৩৮ শেষ।

৩৯তম ওভারে বল করতে এসে পেসার খালেদ আহমেদ রীতিমতো ঝড় বইয়ে দিলেন ওয়েষ্ট ইন্ডিজ শিবিরে। ৩৮.১ ওভারে ২২ রান করে সেট হয়ে যাওয়া রেইমনকে বোল্ড আর ৩৮.৬ ওভারে মাত্র ক্রিজে আসা বোনারকে শূন্য রানে বোল্ড করলেন খালেদ। হতবাক হয়ে গেছে স্বাগতিক দলের ড্রেসিং রুমে বসে থাকা কোচ-কর্মকর্তারা।

বাংলাদেশ দলের ২৩৪ রান টপকাতে ক্যারিবিয়নদের আরো ৯৭টি রান করতে হবে। লাঞ্চের পর স্বাগতিকদের ৫ম জুটিতে ব্লাকউড আর মায়ার্সের জুটি স্কোরকে ১৩২ থেকে ২৪৮ অবদি টেনে নেয়, এই জুটিতে যোগ হয় ১১৬ রান! ৪০ রানে থাকা ব্লাকউডকে মিরাজ স্পিনের জাদুতে এলবি’র ফঁদে ফেলে ফেরত পাঠালেও এরপর তো শুধুই ছিল হতাশা আর হতাশা।

পানি বিরতি থেকে চা বিরতি আর দিনের শেষ অবদি টাইগার পেস আর স্পিন কোন বিভাগই ৬ষ্ঠ জুটিতে খেলতে থাকা মায়ার্স আর জসুয়া সিলভাকে আউট করতে পারেনি। হেসে-খেলেই খালেদ, এবাদত, শরিফুর, সাকিব, মিরাজদের আক্রমণ সামাল দিয়েছে স্বাগতিক দুই মিডল অর্ডার।

দিনের শেষ পর্যন্ত মায়ার্স ১২৬ রানে আর জসুয়া ১০৬ বল খেলে ২৬ রানে অপরাজিত থেকে গেলেন। ১৩তম টেষ্টে এটা ছিল মায়ার্সের টেষ্ট ক্যরিয়ারে ২য় সেঞ্চুরি। কতটা পথ যায় মায়ার্স আর জসুয়া, তার উপর নির্ভর করছে ক্যারিবিয়ানদের দলীয় স্কোর।

৬ষ্ঠ জুটিতে দ্রুত ফেরত পাঠাতে না পারলে স্কোর ৫ শত পেরিয়ে গেলেও অবাক হবার কিছু নেই। এই জুটি যদি তৃতীয় দিনেও এমনই ব্যাটিং ক্যারিশমা দেখায় তাতে সাকিবদের ইনিংস ব্যবধানে হারের লজ্জা হজম করাটা এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র।