নরসিংদীতে এক গৃহবধূকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। মঙ্গলবার রাতে সদর উপজেলার চরাঞ্চল নজরপুর ইউনিয়নের নবীপুরা গ্রামে এই ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। বুধবার সকালে ভুক্তভোগী ওই গৃহবধূকে নরসিংদী সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।

নির্যাতিতা ওই নারীর অভিযোগ, মঙ্গলবার প্রতিবেশী এক পরিবারের বিরুদ্ধে সদর থানায় মারধর ও শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ দিয়েছিলেন তিনি। এতে ক্ষিপ্ত হয় প্রতিবেশি বাদলসহ অভিযুক্তরা। এই জেরে রাতে স্বামী বাড়িতে না থাকার সুযোগে বাদল মিয়া (৫০) ও অজ্ঞাত আরও এক ব্যক্তি ঘরের টিন ভেঙে ভেতরে প্রবেশ করে তাকে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। এ সময় তাকে ব্যাপক মারধর করে হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায় তারা।
জানতে চাইলে ওই গৃহবধূর স্বামী জানান, আমি নদীতে মাছ ধরতে গিয়েছিলাম। মামলা করতে যাওয়ায় আমার অনুপস্থিতিতে ঘরের টিন ভেঙে দুজন মিলে আমার স্ত্রীকে ধর্ষণ করেছেন। তাদের একজন ছিলেন বাদল মিয়া, অন্যজনকে চেনা যায়নি। আমার স্ত্রীকে ধর্ষণের বিচার চাই।

নরসিংদী সদর হাসপাতালের আবাসিক চিকিৎসা কর্মকর্তা (আরএমও) লোপা চৌধুরী জানান, ওই গৃহবধূকে আমাদের হাসপাতালের মহিলা ওয়ার্ডে ভর্তি রেখে চিকিৎসা দেওয়া হচ্ছে। নরসিংদী মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) ফিরোজ তালুকদার জানান, মঙ্গলবার বিকেলে শ্লীলতাহানী ও মারধরের বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দেওয়া হয়েছিল। তবে এই অভিযোগ করতে আসায় গৃহবধূকে দলবদ্ধ ধর্ষণের ঘটনা ঘটেছে বলে আমার জানা নাই। এই বিষয়ে আমরা কোন লিখিত অভিযোগও পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

পলাশ(নরসিংদী) প্রতিনিধি