গাজীপুরের প্রাইভেটকার ও মোটরসাইকেলের সংঘর্ষে কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের উপর থেকে নীচে পড়ে দুইজনসহ মোটরসাইকেল আরোহী ৩জন পোশাক কর্মী নিহত ও এক শিশু আহত হয়েছে। শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারে এ ঘটনা ঘটে। এদিকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরার পথে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে পৃথক ঘটনায় শ্রীপুরে শিশুসহ দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন।

নিহতরা হলেন- সিরাজগঞ্জ জেলার উল্লাপাড়া থানার মরিচা গ্রামের আয়নালের ছেলে রাজু (২৫), নীলফামারী জেলা সদর থানার রাবেরতল গ্রামের রহিম আলীর ছেলে শাহিনুর রহমান (৩০) ও বরগুনা জেলার বেতাগী থানা সদর গ্রামের সেলিম মৃধার ছেলে শামীম মৃধা (৩০)। আহত আড়াই বছরের শিশু রাইসা দূর্ঘটনায় নিহত রাজুর মেয়ে। তারা সবাই গাজীপুর মহানগরীর কোনাবাড়ি থানাধীন দেউলিয়াবাড়ি এলাকায় ভাড়া বাসায় ভাড়া থেকে পোশাক কারখানায় চাকুরি করতেন।

জিএমপি’র উপ পুলিশ কমিশনার জাকির হাসান জানান, শুক্রবার বেলা সাড়ে ১১টার দিকে একটি প্রাইভেটকার ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কের কোনাবাড়ি ফ্লাইওভারের উপর দিয়ে কালিয়াকৈর যাচ্ছিল। এসময় তিন বন্ধু ও নিজের শিশু সন্তানকে একটি মোটরসাইকেলে নিয়ে রাজু পশ্চিম পাশ দিয়ে উল্টোপথে ওই ফ্লাইওভারের উপর উঠে। তারা ফ্লাইওভারের উপর নতুন বাজার এলাকায় পৌছলে মোটরসাইকেলটির সঙ্গে প্রাইভেটকারের মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এতে মোটরসাইকেল আরোহী শাহিনুর ও শামীম ছিটকে ফ্লাইওভারের উপর থেকে নীচে পড়ে ঘটনাস্থলেই নিহত হন। এ ঘটনায় মোটরসাইকেল চালক রাজু ও তার আড়াই বছরের মেয়ে রাইসা আহত হন। পুলিশ ও স্থানীয়রা আহত বাবা-মেয়েকে উদ্ধার করে শহীদ তাজউদ্দীন আহমদ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে যায়। সেখানে রাজুকে মৃত ঘোষণা করেন কর্তব্যরত চিকিৎসক। গুরুতর আহত রাইসাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকার পঙ্গু হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়। পুলিশ ঘটনাস্থল থেকে নিহতদের লাশ উদ্ধার এবং দূর্ঘটনা কবলিত গাড়ি দু’টি জব্দ করেছে। দূর্ঘটনায় গাড়ি দু’টি দুমড়ে মুচড়ে গেছে। এ ব্যাপারে আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণ প্রক্রিয়াধীন রয়েছে।

এদিকে ঈদের ছুটি কাটিয়ে কর্মস্থলে ফেরার পথে বৃহষ্পতিবার দিবাগত রাতে পৃথক ঘটনায় শ্রীপুরে শিশুসহ দুইজন নিহত ও একজন আহত হয়েছেন। এরমধ্যে শ্রীপুর থানাধীন মাওনা-বরমী সড়কের বরামা এলাকায় ড্রাম ট্রাকের ধাক্কায় মোটরসাইকেল আরোহী শিশু তামান্না আক্তার (১১) এবং রঙ্গীলা বাজার এলাকায় বাসের চাপায় তাসলিমা আক্তার (৩৫) নিহত হন। দূর্ঘটনায় নিহত তামান্নার মাতা পারুল আক্তার আহত হন। নিহতদের মধ্যে তামান্না পঞ্চগড় জেলার আল আমিনের মেয়ে এবং তাসলিমা আক্তার নেত্রকোনার কলমাকান্দা উপজেলা এলাকার সোহাগ মিয়ার স্ত্রী বলে জানিয়েছেন মাওনা হাইওয়ে থানার ওসি আমিনুল ইসলাম।