গাজীপুরে জামায়াতের ১৭ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি এবং গ্যাস-বিদ্যুতের বিপর্যয়ের প্রতিবাদের নামে মহাসড়ক অবরোধ করে ভাংচুর ও রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়ার অভিযোগে তাদের গ্রেফতার করা হয়। সোমবার দুপুরে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত এক সাংবাদ সম্মেলনে উপ পুলিশ কমিশনার (অপরাধ-উত্তর) মোঃ জাকির হাসান এ তথ্য জানিয়েছেন।

গ্রেফতারকৃতরা হলো- জামায়াতে ইসলামীর গাজীপুর মহানগর শাখার সেক্রেটারি আফজাল হোসাইন (৫৭), গাছা থানা শাখার আমীর মোঃ আব্দুল মোতালিব (৬০), টঙ্গী পূর্ব থানা শাখার আইন বিষয়ক সম্পাদক তাজুল ইসলাম (৫০), ৪৩ নং ওয়ার্ডের সভাপতি মোঃ শামিম আল মামুন (৫২), ৫৪ নং ওয়ার্ডের সভাপতি জালাল উদ্দিন (৩৮), ৪৯ নং ওয়ার্ড শাখার সভাপতি মোঃ আবু সুফিয়ান (৩২), ওয়ার্ড শাখার সভাপতি সানাউল্লাহ (৫০), মহানগর শাখার রোকন মোঃ রহমত উল্লাহ (৫১), সক্রিয় কর্মী আশরাফুল আলম রাজু (৪৩), আব্দুস সালাম (৩২), জাকারিয়া খান (৪৮), আতিকুর রহমান মুকুল (৫০), নাজমুল হক (৪৫), ইমরান (২৯), মোঃ আব্দুল্লাহ (৪৫), তামিরুল মিল্লাত মাদ্রাসার বিজ্ঞানের শিক্ষক আশরাফুল আলম (৪৬) ও একই বিষয়ের শিক্ষক সিরাজুল ইসলাম (৪৬)।

জিএমপি’র ওই কর্মকর্তা জানান, গত শনিবার গাজীপুর মহানগরীর বাসন থানাধীন ভোগড়া বাইপাস এলাকায় ও পরদিন রবিবার গাছা থানার ভ’ষিরমিল সাইনবোর্ড এলাকায় জামায়াতে ইসলামের কয়েকশ’ উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মী হঠাৎ জড়ো হয়ে ঝটিকা মিছিল বের করে। এসময় তারা ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়ক অবরোধ করে এবং যুদ্ধাপরাধীদের মুক্তি দাবি এবং গ্যাস-বিদ্যুতের বিপর্যয় ও নিত্য প্রয়োজনীয় দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতির প্রতিবাদের নামে রাষ্ট্রবিরোধী বিভিন্ন শ্লোগান দেয়। তারা বেশ কয়েকটি গাড়ি ও দোকানপাট ভাংচুর করে ও জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এসময় পুলিশ ভ’ষিরমিল এলাকা থেকে ৮জন উচ্ছৃঙ্খল নেতা-কর্মীকে হাতেনাতে আটক করে। বাকিরা পালিয়ে যায়। এ ঘটনায় গাছা থানায় দ্রুত বিচার আইনে এবং বাসন থানায় বিশেষ ক্ষমতা আইনে দুইটি মামলা দায়ের করা হয়। পরে গ্রেফতারকৃতদের দেয়া তথ্যের ভিত্তিতে বিভিন্ন এলাকা হতে আরো ৯জনকে গ্রেফতার করা হয়। সোমবার গ্রেফতারকৃত ১৭ জনকে আদালতে প্রেরণ করা হয়।

তিনি আরো জানান, গ্রেফতারকৃতরা বর্তমান স্থিতিশীল রাষ্ট্রকে অস্থিতিশীল করতে রাষ্ট্রবিরোধী চক্রান্ত করছিল বলে তথ্য রয়েছে। এ অভিযানের মধ্য দিয়ে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশ তাদের সেই পরিকল্পনাকে রুখে দিয়েছে। জিএমপি’র এধরনের অভিযান ও গোয়েন্দা তৎপরতা অব্যাহত থাকবে।

সংবাদ সম্মেলনে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের সদর সার্কেলের সহকারি পুলিশ কমিশনার রিপন চন্দ্র সরকার ও সহকারি কমিশনার ( গোয়েন্দা) আবু সায়েম নয়নসহ প্রমূখ উপস্থিত ছিলেন।