গাজীপুরে গ্রাম্য সালিশে মুরগী চুরির অভিযোগে এক যুবককে পেটানোর দৃশ্য ভিডিও ধারণ করায় অপর এক যুবককেও বেধড়ক লাঠিপেটা করার মামলায় সালিশের বিচারক স্থানীয় ইউপি সদস্যকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। তাকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বুধবার এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন জয়দেবপুর থানার ওসি মো. মাহাতাব উদ্দিন।

গ্রেফতারকৃত মো. রাশেদুল হক গাজীপুর সদর উপজেলার জয়দেবপুর থানাধীন ভাওয়াল মির্জাপুর ইউনিয়নের দুই নম্বর ওয়ার্ডের সদস্য।

জয়দেবপুর থানার ওসি মাহতাব উদ্দিন জানান, গত শুক্রবার বিকেলে ওই ইউপি সদস্যের নির্দেশে সাইদুল হক নামের স্থানীয় এক যুবককে মুরগি চুরির অভিযোগে স্থানীয় বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকার একটি খোলা মাঠে এক সালিশে ডেকে আনা হয়। এক পর্যায়ে সালিশে মুরগি চুরির অভিযোগে ওই যুবককে জনসম্মুখে এলোপাতাড়ি মারধর করেন ইউপি সদস্য রাশেদুল হক। । এসময় সেখানে উপস্থিত জুয়েল নামের অপর এক যুবক ওই মারধোরের দৃশ্য ভিডিও ধারণ করছিলেন। ভিডিও ধারণের ঘটনাটি ইউপি সদস্য রাশেদুল নজরে পড়লে তাকেও সবার সামনে লাঠি দিয়ে মারধোর করেন তিনি। জুয়েল রানা স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় চাকুরি করেন। আর সাইদুল হক স্থানীয় সিটপাড়া এলাকারই বাসিন্দা। মারধরের ভিডিওটি সোমবার বিকেল থেকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হলে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যমে প্রকাশ হয়। নির্যাতনের এ ঘটনায় সালিশের বিচারক ইউপি সদস্য রাশেদুল হককে অভিযুক্ত করে মঙ্গলবার জয়দেবপুর থানায় মামলা দায়ের করেন মারধরের শিকার জুয়েল। পরে ওইদিন রাতেই পুলিশ রাশেদুলকে তার নিজ বাড়ি থেকে গ্রেফতার করে। গ্রেফতারকৃত ইউপি সদস্যকে বুধবার গাজীপুরের আদালতে পাঠানো হয়।

স্থানীয়রা জানান, বিভিন্ন সময়ে ছোটখাটো বিভিন্ন বিষয়ে যাকে খুশি তাকে মারধর করতেন ইউপি সদস্য রাশেদুল হক। বিচার সালিশের নাম করে নিরীহ লোকদের হয়রানি ও মারপিট করেন তিনি। শুক্রবার বিকেলে বিকেবাড়ি (সিটপাড়া) এলাকার একটি খোলা মাঠে সাইদুলকে ধরে নিয়ে আসে। পরে ওই যুবককে মুরগি চুরির মিথ্যা অভিযোগে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। ওই মারধরের দৃশ্য উপস্থিত এক যুবক ভিডিও ধারণ করায় তাকেও লাঠি দিয়ে মারপিট করেন ইউপি সদস্য রাশেদুল।