স্বরাষ্ট্র সচিব ও আইজিপিসহ ১০ জনকে লিগ্যাল নোটিশ পাঠিয়েছেন সুপ্রিম কোর্টের ১৪ আইনজীবী। নোটিশে নিরস্ত্র মানুষের ওপর পুলিশের ‘বেপরোয়া’ আগ্নেয়াস্ত্রের ব্যবহার, ভোলায় পুলিশের গুলিতে ২ জন নিহতের ঘটনা, ঠাকুরগাঁওয়ের মায়ের কোলে শিশু, বাঁশখালীতে শ্রমিক নিহতের ঘটনায় কেন নিরপেক্ষ তদন্ত করে ব্যবস্থা নেয়া হবে না, তা জানতে চাওয়া হয়েছে।

লিগ্যাল নোটিশদাতারা হলেন মাহফুজ বিন ইউসুফ, মাহবুবের রহমান খান, অ্যাডভোকেট নাজমুল হুদা, ব্যারিস্টার কাজী আক্তার হোসেন, ব্যারিস্টার ইফতেখার উদ্দিন মাহমুদ, ব্যারিস্টার একেএম এহসানুর রহমান, ব্যারিস্টার ওসমান চৌধুরী, ব্যারিস্টার মেহদী হাসান, ব্যারিস্টার মাহ্ফুজুর রহমান মিলন, অ্যাডভোকেট জামিউল হক ফয়সাল, অ্যাডভোকেট নুসরাত সুমাইয়া ইয়াসমিন, ব্যারিস্টার খালেদ মাহমুদুর রহমান আদনান, অ্যাডভোকেট জুয়েল মুন্সি সুমন এবং অ্যাডভোকেট মো. নুরুল হুদা।

উল্লেখ্য ৩১শে জুলাই বাংলাদেশ জাতীয়বাদী দল বিএনপি’র কেন্দ্রীয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ভোলায় তেল গ্যাস এর মূল্যবৃদ্ধি এর প্রতিবাদে বিক্ষোভ মিছিল অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত বিক্ষোভ মিছিলে পুলিশ ও বিএনপির নেতা কর্মীদের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সেই সংঘর্ষে পুলিশ ও বিএনপি নেতাকর্মীদের মধ্যে ঘন্টা ব্যাপী ধাওয়া পাল্টা দেওয়ার ঘটনা ঘটে । এক পর্যায়ে পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করে। সেই সংঘর্ষে ঘটনাস্থলেই আব্দুর রহিম নামে স্বেচ্ছাসেবক দলের এক নেতা নিহত হন। সেই সংঘর্ষে অর্ধশতাধিক নেতাকর্মী আহত হন তার ভিতরে ভোলা জেলা ছাত্রদলের সভাপতি নূরে আলম গুরুতর আহত হয়। আহত অবস্থায় তাকে ঢাকায় নিয়ে যাওয়া হয়। দীর্ঘ দুইদিন লাইফ সাপোর্টে থাকার পর বুধবার (৩ আগষ্ট) দুপুরে জেলা ছাত্রদল সভাপতি নুরে আলম ঢাকার একটি বেসরকারি হাসপাতালে মৃত্যুবরণ করেন। এই ঘটনার পরপরই দেশব্যাপী আবার ও প্রশ্ন ওঠে পুলিশের আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহারের বিষয়। তারই পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিমকোর্টের এই আইনজীবীরা এই লিগাল নোটিশ প্রদান করেন।

লিগ্যাল নোটিশের বিষয়টি নিশ্চিত করেন বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট বার এসোসিয়েশন সাবেক নির্বাহী সদস্য ও বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্টের আপীল বিভাগের আইনজীবী ব্যারিস্টার কাজী আখতার হোসাইন।