ইউক্রেনের জাপোরিঝজিয়াস্থ ইউরোপের সর্ববৃহৎ পরমাণু কেন্দ্রে গোলা নিক্ষেপের ঘটনায় রাশিয়া-ইউক্রেন পরস্পরবিরোধী অভিযোগ করছে। শুক্রবার দুটি দেশই একে অন্যেরে বিরুদ্ধে এই পরমাণু কেন্দ্রে হামলার অভিযোগ করে। জাপোরিঝজিয়া এখন রাশিয়ার নিয়ন্ত্রণে আছে। তবে পরমাণু কেন্দ্রটি এখনো ইউক্রেনীয় টেকনেশিয়ানরাই দেখভাল করছেন। ধারণা করা হচ্ছে ইউক্রেন-রাশিয়া যুদ্ধের পরবর্তী বড় লড়াইয়ে ক্ষেত্র হয়ে উঠবে এই অঞ্চলটি।

এদিকে পশ্চিমা দেশগুলো জাপোরিঝজিয়া থেকে সৈন্য প্রত্যাহারে জন্য মস্কোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছে। যদিও এখন পর্যন্ত সেখান থেকে সৈন্য প্রত্যাহারের রাজি হয়নি রাশিয়া। গত মার্চের শুরুতে রুশ বাহিনী এই পরমাণু কেন্দ্রটি দখলে নেয়। খবর রয়টার্সের।

এই পরমাণু কেন্দ্রটি দক্ষিণ ইউক্রেন জুড়ে বিস্তৃত দিনিপ্রো নদীর দক্ষিণ তীরে অবস্থিত। ইউক্রেনীয় সেনারা পরমাণু কেন্দ্রটির বিপরীতে নদীর অপর তীরের শহরগুলো এখনো নিয়ন্ত্রণে রেখেছে। যদিও এপার থেকে রুশ বাহিনী ওপারে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করছে।

দিনিপ্রোপেট্রোভক্স অঞ্চলের গভর্নর ভ্যালেনটিন রেজনিচেঙ্কো শুক্রবার বলেছেন, পরমাণু কেন্দ্রের বিপরীত দিকের মারহানেটস শহরে রাতভর চালানো রুশ বোমা হামলায় তিন বেসামরিক নাগরিক আহত হয়েছেন।

কিয়েভ সাম্প্রতিক সপ্তাহগুলোতে বলে আসছে, জাপোরিঝজিয়া এবং পার্শ্ববর্তী খেরসন প্রদেশের পুনর্দখল নিতে ইউক্রেনীয় সেনারা পাল্টা হামলার পরিকল্পনা করছে। গত ২৪ ফেব্রুয়ারি সামরিক অভিযান শুরুর পর রাশিয়া এই বিশাল এলাকা দখল করে নেয়।

এদিকে দোনেৎস্কের আনঞ্চলিক গভর্নর পাভলো কিরিলেনকো বলেছেন, শুক্রবার পূর্বদিকের শহর ক্রামাট্রোস্কে ব্যাপক গোলাবর্ষণ করেছে রাশিয়া। তিনি নিজের টেলিগ্রাম চ্যানেলে একটি ভিডিও পোস্ট করেছেন, যেটিতে শহরের বিধ্বস্ত বাড়িঘর দেখা যায়। আর শহরের মেয়র এক ফেসবুক পোস্টে দাবি করেছেন, এই হামলায় তিন জন নিহত হয়েছেন।

অন্যদিকে ইউক্রেনের সশস্ত্র বাহিনী বলেছে, তাদের কামানের গোলায় পরমাণু কেন্দ্র থেকে দিনিপ্রো নদীর দিকে প্রায় ৮০ মাইল দূরের একটি ব্রিজের কাছাকাছি অবস্থিত রাশিয়ান একটি গোলাবারুদ ডিপো ধ্বংস হয়েছে। এখন তারা রুশ দখলকৃত দক্ষিণে মস্কোর সাপ্লাই লাইনে আঘাত হানতে পারবে।

এই ব্যাপারে রাশিয়ান কর্তৃপক্ষ কোনো মন্তব্য করেনি। রয়টার্স স্বতন্ত্রভাবে ইউক্রেনের এই দাবির সত্যতা যাচাই করতে পারেনি।