আগামী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ পর্যন্ত টি-টোয়েন্টির অধিনায়কত্ব পেয়েছেন সাকিব আল হাসান। শনিবার (১৩ আগস্ট) বিসিবির সঙ্গে সাকিবের বৈঠকের পর অধিনায়ক হিসেবে তার নাম ঘোষণা করেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস।

তবে এরইমধ্যে প্রশ্ন উঠছে, তার নেতৃত্ব পাওয়াটা কতটা যৌক্তিক হয়েছে তা নিয়ে। বেটউইনার নিউজের সঙ্গে সাকিব আল হাসানের চুক্তির ইস্যুতে গেল কদিনে বেশ উত্তাল ছিল দেশের ক্রিকেটাঙ্গন। তবে বিসিবির চাপের মুখে সাকিব চুক্তি থেকে সরে আসায় সেই উত্তেজনা অনেকটাই মিইয়ে যায়। এরপর বোর্ডের সঙ্গে বৈঠকের পর পেলেন নেতৃত্বের গুরুদায়িত্বও।

তবে প্রশ্ন উঠা থামছে না। সাকিবের নেতৃত্বের প্রতিক্রিয়ায় এক সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহারকারী বলেন, শাস্তির পরিবর্তে পুরস্কার পেয়েছেন সাকিব। এদিকে, এতবড় একটা ঘটনার পর সাকিবের নেতৃত্ব পাওয়ার বিষয়ে সাংবাদিকদের করা প্রশ্নের জবাবে জালাল ইউনূস বলেন, বিষয়টি নিয়ে অনেক আলাপ-আলোচনা হয়েছে। সাকিব তার ভুল বুঝতে পেরেছে। এটা আসলে তার করা ঠিক হয়নি। সে আমাদের জানিয়েছে, সে মিসগাইড হয়েছে।

তিনি বলেন, আসলে সে মনে করেছিল এটা (বেটউইনার) একটা অনলাইন নিউজ (পোর্টাল), সে বুঝতে পারেনি। এরপর তাকে বুঝিয়ে বলার পর সে সেখান থেকে সরে এসেছে। টি-টোয়েন্টির নেতৃত্বে সাকিব জালাল ইউনূস বলেন, আপনারা জানেন যে, সাকিবকে অধিনায়ক করার চিন্তাভাবনা আমাদের আগে থেকেই ছিল। আর তাই তাকেই দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। এর আগে যুক্তরাষ্ট্র থেকে মধ্যরাতে দেশে ফেরার পরদিনই শনিবার (১৩ আগস্ট) বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপনের সঙ্গে তার গুলশানের বাসভবনে বিকেল ৩টার পর বৈঠকে বসেন সাকিব আল হাসান।

দুই ঘণ্টারও বেশি সময়ের বৈঠক শেষে সাকিব বেরিয়ে যাওয়ার পরই নেতৃত্বের বিষয়টি গণমাধ্যমকে জানানো হয়। সাকিব-পাপন ছাড়াও বহুল আলোচিত বৈঠকটিতে আরও ছিলেন ক্রিকেট অপারেশন্স চেয়ারম্যান জালাল ইউনূস, টিম ডিরেক্টর খালেদ মাহমুদ সুজন, প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু এবং নির্বাচক হাবিবুল বাশার সুমন। বাংলাদেশের হয়ে এখন পর্যন্ত ৯ জন ক্রিকেটার টি-টোয়েন্টিতে নেতৃত্ব দিয়েছেন। যাদের মধ্যে পাঁচজন পেয়েছিলেন স্থায়ী অধিনায়কত্ব।