ইউক্রেনের ঝাপোরিঝিয়া পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশে তীব্র উত্তেজনা বিরাজ করছে। ইউক্রেনের কর্মকর্তারা রাশিয়ার বিরুদ্ধে বারবার ওই স্থাপনায় রকেট হামলা চালানোর অভিযোগ করেছে। এমন হামলা সেখানে পারমাণবিক দুর্ঘটনার হুমকি তৈরি করছে।

শনিবার বিদ্যুৎকেন্দ্রটির পরিচালনাকারী সংস্থা এ তথ্য জানিয়েছে। খবর রয়টার্সের।

তারা জানিয়েছে, স্থাপনাটির আশপাশে গত সপ্তাহ থেকে রকেট হামলা বৃদ্ধি পাওয়ায়, এটি এখন তেজস্ক্রিয়তা ও অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থাপনার মান লঙ্ঘনের ঝুঁকির মধ্যে রয়েছে। এটিই ইউরোপের বৃহত্তম পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র।

ইউক্রেনের পারমাণবিক বিদ্যুৎকেন্দ্র পরিচালনাকারী এনেরগোঅ্যাটম জানায়, নাইট্রোজেন-অক্সিজেন স্টেশন, অভ্যন্তরীণ সুয়ারেজ পাম্প করার স্টেশন এবং সম্মিলিত সহায়ক ভবনগুলো গোলাবর্ষণে গুরুতরভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।

এ ছাড়া এতে ব্যবহার করার জন্য রাখা শুষ্ক পারমাণবিক জ্বালানি সংরক্ষণগারের আশপাশে ‘তেজস্ক্রিয়তার মাত্রা পর্যবেক্ষণের তিনটি সেনসর’ ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে বলে জানায় এনেরগোঅ্যাটম।

এনেরগোঅ্যাটম জানায়, বিদ্যুৎকেন্দ্রটির বাইরে অবস্থিত দমকল বাহিনীর ওপরও হামলা চালানো হয়েছে। কর্মকর্তারা আরও জানান, একটি বৈদ্যুতিক ট্রান্সফর্মারেও একটি গোলা আঘাত হানে, যার ফলে সারা দেশের বৈদ্যুতিক গ্রিড হুমকির মুখে পড়েছে।

আন্তর্জাতিক পরমাণু শক্তি সংস্থার (আইএইএ) প্রধান বলেন, লড়াই বন্ধ না হলে এবং পরিদর্শকদের স্থাপনাটির ভেতরে প্রবেশ করতে দেওয়া না হলে, সেখানে ‘পারমাণবিক বিপর্যয়ের বাস্তব ঝুঁকি রয়েছে’।

বিদ্যুৎকেন্দ্রটিতে হামলা চালানোর জন্য রাশিয়া ও ইউক্রেন পরস্পরকে দায়ী করেছে।

ইউক্রেনের কর্মকর্তারা বলেছেন, রুশ বাহিনী মারহানেটস শহরে অন্তত ৪০টি রকেট নিক্ষেপ করেছে। মারহানেটস শহর ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের পাশের নিপার নদীর অপর পাড়ে অবস্থিত।

ওই বিদ্যুৎকেন্দ্র দখল করে থাকা রুশ বাহিনীর বিরুদ্ধে অভিযোগ রয়েছে, তারা ইউক্রেনীয় সেনাবাহিনীর অবস্থানে হামলা চালাতে স্থাপনাটিকে ঢাল হিসেবে ব্যবহার করছে। গত দুই সপ্তাহজুড়ে ওই বিদ্যুৎকেন্দ্রের আশপাশের এলাকায় ব্যাপক গোলাবর্ষণ হচ্ছে বলে খবর পাওয়া গেছে। স্থাপনাটি রুশ সেনাদের দখলে থাকলেও ইউক্রেনের কর্মীরা বিদ্যুৎকেন্দ্রটি পরিচালনা করা অব্যাহত রেখেছেন।