ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ১৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক জসিম উদ্দিনকে মারধর করার ঘটনায় একই ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও পল্টন থানা আওয়ামী লীগ সভাপতি এনামুল হক আবুলকে প্রধান আসামি করে মামলা করা হয়েছে।

মারধরের শিকার জসিম উদ্দিনের মেয়ে সিবা আক্তার যুথী বাদী হয়ে বুধবার রাতে পল্টন মডেল থানায় এ মামলা করেন।

মামলায় অন্য আসামিরা হলেন- আলী রেজা খান, এনামুল হক পান্না, নাজমুল হোসাইন, রাশেদুল আলম, শামছুল আলম, শফিউল আজম, মঞ্জুরুল হক, শাহ আলম, এইচ এম রায়হানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাতজন।

গত ১৬ আগস্ট রাতে স্থানীয় কাউন্সিলরের নেতৃত্বে জসিম উদ্দিনকে মারধর করার অভিযোগ এনে থানায় সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন সিবা আক্তার যুথী। জিডিতে বলা হয়, সিবা আক্তারের নামে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কুরুচিপূর্ণ পোস্ট করার প্রতিবাদ করতে গিয়ে বাবা জসিম উদ্দিন মারধরের শিকার হন।

এ বিষয়ে পল্টন মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সালাউদ্দিন মিয়া বৃহস্পতিবার গণমাধ্যমকে বলেন, জসিম উদ্দিনের মেয়ে বাদী হয়ে গতকাল (বুধবার) রাতেই মামলা করেছেন।

এর আগে জিডিতে শিবা আক্তার উল্লেখ করেন, তাকে নিয়ে ফেসবুকে আজেবাজে মন্তব্যের প্রতিবাদ করায় কাউন্সিলরের নির্দেশে আলী রেজা খান, এনামুল হক, নাজমুল হোসাইন, রাশেদুল আলম, শামছুল আলম, শফিউল আজম, মঞ্জুরুল হক, শাহ আলম, এইচ এম রায়হানসহ অজ্ঞাতনামা আরও ছয় থেকে সাতজন জসিম উদ্দিনকে এলোপাতাড়ি মারধর করেন। শান্তিনগরের হোয়াইট হাউস রেস্টুরেন্টের ভেতরে মারধরের পর সেখান থেকে দৌড়ে বেরিয়ে আসেন জসিম উদ্দিন। পরে বাইরে এসে আবারও এলোপাতাড়ি কিল ও ঘুষি মেরে জখম করা হয়। এ সময় তার বাবাকে মেরে ফেলার হুমকিও দেওয়া হয়।

শিবা আক্তার অভিযোগ করে বলেন, কাউন্সিলরের নেতৃত্বে তার বাবার ওপর তিন দফা হামলা চালিয়ে ব্যাপক মারধর করা হয়েছে। মাটিতে ফেলে বুকের ওপর পা দিয়ে আঘাত করা হয়েছে। হামলায় গুরুতর অসুস্থ হয়ে পড়লে প্রথমে কাকরাইলের একটি হাসপাতালে নেওয়া হয়। অবস্থা গুরুতর দেখে ঢামেক হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। বর্তমানে তার বাবা ঢামেকের সিসিইউতে ভর্তি আছেন।

এদিকে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদকের ওপর হামলার প্রতিবাদে আজ শান্তিনগর এলাকায় বিক্ষোভ মিছিল করে কাউন্সিলরের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়েছে। এ ঘটনায় বিচার চেয়ে এলাকায় ডিজিটাল পোস্টারও টাঙানো হয়েছে।