লালমনিরহাটের হাতীবান্ধায় ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়াকে কেন্দ্র করে বাপ-ছেলের মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মনজু ও আলিফ মিয়ার লোকজন। গুরতর আহত ওই দুইজন বর্তমান রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।

শনিবার রাতে উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের দইখাওয়া বাজারে এই মারামারি ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে জানিয়েছেন ভুক্তভোগীর পরিবার।

আহতরা হলেন, উপজেলার গোতামারী ইউনিয়নের ঘুটিয়া মঙ্গল এলাকার আওয়ামিলীগ নেতা ছাবেদ আলী (৬৫) ও তার ছেলে মিলন মিয়া (৩২)।
অভিযুক্ত মোজাম্মেল হোসেন মনজু গোতামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি ও আলিফ মিয়া সাবেক চেয়ারম্যান সাবু মিয়ার ছেলে।

জানাগেছে, হাতীবান্ধা উপজেলা বিএনপির কিছু নেতা-কর্মী শুক্রবার রাতে গোতামারি ইউনিয়ন পরিষদের একটি কক্ষে বসে আলোচনা সভা করেন। এ নিয়ে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে (ফেসবুক) একটি স্টাটাস দেয় মিলন মিয়। আর এরেই জেরে শনিবার রাতে আওয়ামীলীগ সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মনজুর সাথে বাক-বিতন্ডা বাঁধে মিলন মিয়ার। এর এক পর্যায়ে ক্ষিপ্ত হয়ে মনজু ও আলিফ মিয়া তাদের লোকজন মারধর করে মিলন মিয়ার মাথা ফাটিয়ে দেয়। খবর পেয়ে আওয়ামীলীগ সভাপতি মনজু মিয়ার নিকট গিয়ে মারধরের বিষয় জানতে চাইলে মিলন মিয়ার বাবা ছাবেদকেও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়া হয়। পরে স্থানীয়রা তাদের উদ্ধার করে হাতীবান্ধা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে তাদের রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়ে দেয়।

এ বিষয়ে মিলন মিয়া বলেন, ফেসবুকে স্টাটাস দেওয়া মনজু, আলিফ ও তার লোকজন আমাকে মারধর করে আমার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছে। এরপর আমার বাবাকেও মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন।
এ বিষয়ে ছাবেদ আলী বলেন, আমার ছেলেকে তারা মারধর করেছে বিষয়টি জানতে গেলে মনজু ও তার লোকজন আমাকে মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দিয়েছেন।

এ বিষয়ে গোতামারি ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি মোজাম্মেল হোসেন মনজু বলেন, আমরা তাদেরকে মারধর করি নাই, বরং তারাই আমাদের লোকজনদের মারধর করেছে।
এ বিষয়ে হাতীবান্ধা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি শাহা আলম বলেন, বিষয়টি শুনেছি কিন্তু এ বিষয়ে এখন পর্যন্ত কেউ কোন অভিযোগ করে নি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।