বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট (বারি) এর সরেজমিন গবেষণা বিভাগ, কিশোরগঞ্জ এর আয়োজনে ‘হাওরাঞ্চলের উপযোগী বারি উদ্ভাবিত কৃষি যন্ত্রপাতির ব্যবহার’ বিষয়ক কর্মশালা শনিবার কিশোরগঞ্জের নিকলী উপজেলায় অনুষ্ঠিত হয়েছে। বারি’র আওতাধীন ‘কৃষি যন্ত্রপাতি ও লাগসই প্রযুক্তি উদ্ভাবনের মাধ্যমে ফসল উৎপাদন ব্যবস্থাকে অধিকতর লাভজনক করা (এফএমডিপি)’ শীর্ষক প্রকল্পের অর্থায়নে আয়োজিত এ কর্মশালায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কৃষি মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. সায়েদুল ইসলাম।
বারি’র পরিচালক (পরিকল্পনা ও মূল্যায়ন) ড. অপূর্ব কান্তি চৌধুরী এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত এ কর্মশালায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা পরিবহন সমন্বয় কর্তৃপক্ষ (ডিটিসিএ) সড়ক পরিবহন ও সেতু মন্ত্রণালয়ে নির্বাহী পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) সাবিহা পারভীন, বারি’র মহাপরিচালক ড. দেবাশীষ সরকার, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর ঢাকা অঞ্চলের অতিরিক্ত পরিচালক এস এম সোহরাব উদ্দিন, নিকলী উপজেলা চেয়ারম্যান এ. এম. রুহুল কুদ্দুস ভূঞা (জনি),) নিকলী উপজেলা নির্বাহী অফিসার মোছা. শাকিলা পারভীন।
কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে কৃষি সচিব বলেন, দেশকে খাদ্যে স্বয়ংসম্পূর্ণ করার পেছনে হাওরবাসীর অনন্য অবদান রেখে চলেছে। দেশে মোট উৎপাদিত বোরো ধানের শতকরা ২০ ভাগ আসে এই হাওরাঞ্চল থেকে। হাওরের যেমন চ্যালেঞ্জ আছে তেমনি সম্ভাবনাও রয়েছে। দেশের বৈরী প্রতিবেশের চ্যালেঞ্জকে সম্ভাবনায় রূপান্তর করার জন্য কৃষি মন্ত্রণালয়ে ইতোমধ্যে ৬টি হটস্পট চিহ্নিত করেছে যার অন্যতম হলো হাওর।
কৃষি সচিব বলেন, ২০২৫ সালের জুনের মধ্যে সরকার কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে ৫১,৩০০টি কৃষি যন্ত্র সারাদেশের কৃষকদের কাছে সরবরাহ করবে। সরকার গবেষণা প্রতিষ্ঠান ও কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের মাধ্যমে সরকার কৃষি যান্ত্রিকীকরণের উপর বিভিন্ন প্রকল্প বাস্তবায়ন করছে। বাংলাদেশ কৃষি গবেষণা ইনস্টিটিউট এর বিজ্ঞানীরা কৃষকের উপযোগী বিভিন্ন ধরনের লাগসই কৃষি যন্ত্রপাতি উদ্ভাবন করছে যার অধিকাংশই কৃষক পর্যায়ে সফলভাবে ব্যবহৃত হচ্ছে।