দ্রব্যের মুল্য বৃদ্ধি এবং পুলিশের গুলিতে বিএনপির নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে লালমনিরহাটের পাটগ্রামে বিএনপির বিক্ষোভ মিছিলে আওয়ামীলীগের হামলা ও ভাংচুরব্র ঘটনা ঘটে। এসময় ৬জন আহত হয়।

মঙ্গলবার (১৩ সেপ্টেম্বর) বিকালে ঐ উপজেলার বিএনপির দলীয় কার্যালয়ের সামনে এ ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, সারাদেশে দ্রব্যমুল্যর উর্ধগতি ও পুলিশের গুলিতে বিএনপির নেতাকর্মীর মৃত্যুর প্রতিবাদে মঙ্গলবার বিকালে বিক্ষোভ মিছিল ও প্রতিবাদের আয়োজন করে পাটগ্রাম উপজেলা বিএনপি। বিএনপির উক্ত কর্মসূচি প্রতিহত করার জন্য ঐ উপজেলার বিভিন্ন মোড়ে মোড়ে ছাত্রলীগ ও যুবলীগের নেতাকর্মীরা উপস্থিত থাকে। এসময় তারা বিএনপির অফিসে নেতাকর্মীদের উপড় হামলা ও অফিস ভাংচুরের করে। এতে করে বিএনপির প্রায় ৬ জন নেতাকর্মী আহত হয়েছে। আহতরা স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।

এরপরও কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য ব্যারিস্টার হাসান রাজিব প্রধানের নেতৃত্বে একটি মিছিল বের হয়। মিছিলটি থানা রোড হয়ে তার বাড়ির সামনে এসে শেষ হয়। পরে সেখানে বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের কয়েকশত নেতাকর্মীরা উপস্থিত হয়ে বিক্ষোভ সমাবেশ করেন।

পাটগ্রাম পৌর বিএনপির সভাপতি মোস্তফা সালাউজ্জামান ওপেল এর সভাপতিত্বে এরে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন কেন্দ্রীয় বিএনপির নির্বাহী কমিটির সদস্য হাসান রাজিব প্রধান।
এসময় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন লালমনিরহাট জেলা বিএনপির সহ- সভাপতি রফিকুল ইসলাম, যুগ্ম সম্পাদক মমিনুল ইসলামসহ উপজেলা, পৌর বিএনপি ও বিভিন্ন অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা।
বিএনপি নেতারা অভিযোগ করেন, বিএনপির পূর্ব নির্ধারিত কর্মসুচি বানচাল করতে সকাল থেকেই ইউনিয়ন, পৌর ছাত্রলীগ ও স্থানীয় যুবলীগের কতিপয় নেতাকর্মী মহড়া দিতে থাকে। পাটগ্রাম বাজারে বিভিন্ন স্থানে জটলা তৈরি করে এবং মহড়া দিয়ে পরিস্থিতি উত্তপ্ত করে। সমাবেশের আগে দুপুর ২টার দিকে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতাকর্মীরা লাঠিসোটা, রড ও রামদা নিয়ে পাটগ্রাম বিএনপি অফিসে হামলা চালায়। তারা অফিসের টেবিল ও অন্তত ৩০টি চেয়ার কুপিয়ে ও লাঠির আঘাতে ভেঙ্গে ফেলে।
এ ব্যাপারে আওয়ামী লীগ ও ছাত্রলীগের নেতৃবৃন্দ দাবি করেন, এ ধরণের কোন ঘটনার সাথে তাদের সম্পকৃতা নেই। বিএনপি অপপ্রচার চালাচ্ছে।

এ বিষয়ে পাটগ্রাম থানার অফিসার ইনচার্জ ওমর ফারুক জানান, এ ধরনের কোন ঝামেলা হয়নি এবং এ বিষয়ে কেউ আমাদেরকে অবগত করেনি ।