লালমনিরহাটের সদর উপজেলায় মসজিদের নামাজ পড়াবস্থায় ধারালো ছোড়ার আঘাতে একজন হাজী মৃত্যুশয্যায় হাসপাতালের বেডে কাতরাচ্ছে। এ ঘটনা জড়িত আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী মাসুদা বেগমের বিরুদ্ধে সদর থানায় মামলা দায়ের করা হলেও পুলিশ তাদের গ্রেফতার করতে পারেনি।
ফলে শুক্রবার (১৬ সেপ্টেম্বর) জুম্মার নামাজ শেষে লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফী বাসষ্ট্যান্ড এলাকার আল আজিজিয়া জামে মসজিদের মুসল্লিরা কুড়িগ্রাম-রংপুর মহাসড়কে মোস্তফী বাসষ্ট্যান্ডে ঘন্টাব্যাপী মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল করেন।
ওই সময় বক্তব্য রাখেন, আল আজিজিয়া জামে মসজিদের সহ-সভাপতি মমিনুর ইসলাম, সাধারণ সম্পাদক খাইরুল ইসলাম, মসজিদের খতিব মাওলানা আঃ রহিম, মুসল্লি আখেরুল ইসলাম ও সফিউল ইসলাম সহ এলাকাবাসী প্রমূখ।
উক্ত মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিলের বক্তরা বলেন, অবিলম্বে আবুল হোসেনকে গ্রেফতার করে আইনে আওতায় নিয়ে আসতে হবে। মসজিদের ভিতরে ঢুকে প্রকাশ্যে ধারালো অস্ত্র দিয়ে কোপ মারার ঘটনায় থানায় মামলা দায়ের হওয়ার পরেও প্রকাশ্যে ঘুরে বেড়াচ্ছেন আবুল হোসেন। তাকে কেন পুলিশ গ্রেফতার করছেন না। তাকে দ্রুত গ্রেফতার করে আইনের আওতায় না আনা হলে আমরা মসজিদের মুসল্লিরা কঠোর আন্দোলনে যাব। এমনকি কুড়িগ্রাম-রংপুর-লালমনিরহাট মহাসড়কের সকল প্রকাশ যানবাহন চলাচল বন্ধ করে দেয়া হবে।
মানববন্ধন ও বিক্ষোভ মিছিল শেষে মসজিদের সকল মুসল্লিরা আলহাজ্ব মোঃ আঃ খালেকের দ্রুত সুস্থ্যতায় জন্য দোয়া করা হয়।
উল্লেখ্য যে, গত বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) সকাল সাড়ে ৫টায় লালমনিরহাট সদর উপজেলার গোকুন্ডা ইউনিয়নের মোস্তফী বাসষ্ট্যান্ড এলাকার আল-আজিজিয়া জামে মসজিদে ফজরের নামাজ আদায়ের সময় মসজিদের ভিতরে আবুল হোসেনের ধারালো ছোড়া আঘাতে আলহাজ্ব মোঃ আঃ খালেক গুরুত্বর আহত হন।
পরে রক্তাক্তবস্থায় আলহাজ্ব মোঃ আঃ খালেককে তার বাড়ির লোকজনসহ মসজিদের মুসল্লিরা তাকে উদ্ধার করে লালমনিরহাট সদর হাসপাতালের ভর্তি করান। ওই সময় সদর হাসপাতালের জরুরী বিভাগের কর্তব্যরত চিকিৎসক আলহাজ্ব আঃ খালেকের অবস্থা বেগতি দেখে উন্নত চিকিৎসার জন্য দ্রুত রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রেফার্ড করেন। বর্তমান আলহাজ্ব মোঃ আঃ খালেক সেখানে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ ঘটনায় আলহাজ্ব মোঃ আঃ খালেকের স্ত্রী মোছাঃ পরিনা বেগম বাদী হয়ে লালমনিরহাট সদর থানায় মোঃ আবুল হোসেন ও তার স্ত্রী মাসুদা বেগমের বিরুদ্ধে একটি মামলা দায়ের করেন।
এ ব্যাপারে লালমনিরহাট সদর থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) এরশাদুল আলম বলেন, অভিযোগ পেয়ে মামলাটি নথিভুক্ত করা হয়েছে। আসামী গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।