প্রচন্ড ঝুঁকিপূর্ণ অবস্থায় আছে চট্টগ্রাম জেলার মিরসরাইয়ের পৌর সদরে অবস্থিত ফুটওভার ব্রিজ। প্রতিদিনই ছোটখাটো দূর্ঘটনাতো ঘটেই চলেছে। যে কোন সময় বড় দুর্ঘটনা ঘটে যেতে পারে। যে কারণে অনেকেই মনে করছেন হয়তো মানুষ মরলে ঘুম ভাঙবে সড়ক ও জনপথ বিভাগ (সওজ) কর্মকর্তাদের।
কারণ এর আগেও বিভিন্ন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ কিংবা আশ্বাসের পরও কোন সুফল মিলেনি।

মিরসরাইয়ে সরজমিনে গিয়ে দেখা যায়, ব্রিজটির লোহায় মরিচীকা পড়ে নাজেহাল অবস্থা, দূর থেকে দেখতে ব্রিজ যেন হেলে পড়ছে সড়কে! চলাচলের স্থানে লোহার সেফটি অংশ উঠে যাওয়ায় হালকা বৃষ্টিতেই স্লিপ কেটে পড়ে যাওয়ার আশংকা। এছাড়া উপরে চলাচলের কিছু অংশে ধরেছে ফাটল। এর ফলে প্রতিদিনই চলাচলে দুর্ঘটনার আশংকা করছেন পথচারীরা।

মিরসরাইয়ের বাসিন্দাদের ভাষ্য মতে, গেল ৪ সেপ্টেম্বর, রোববার একসাথে তিনটি মেয়ে ব্রিজদিয়ে পার হওয়ার সময় স্লিপ কেটে পড়ে পা মচকে যায়। শুধু তাই নয় এর আগেও বৃদ্ধ, শিশুসহ বেশ কয়েকজন পড়ে গিয়ে পা ভেঙ্গে ফেলেছে বলেও জানিয়েছে স্থানীয়রা।

দুর্ঘটনা এড়াতে প্রতিনিয়ত ফুটওভার ব্রিজটি ব্যবহার করেন এমন বেশ কয়েকজন পথচারীর সাথে কথা বলে জানা যায়, মিরসরাই উপজেলার বিভিন্ন পয়েন্টে যতগুলো ফুটওভার ব্রিজ আছে সবচাইতে বেশি ব্যবহার হয় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের মিরসরাই সদরে পোস্ট অফিস সংলগ্নে নির্মিত ব্রিজটি। যা ২০১৫ সালে নির্মাণ করা হয়। বচাইতে বেশি ব্যবহৃত এই ব্রিজটির বর্তমানে সিঁড়ি গুলো মরিচায় ক্ষয়ে পাতলা হয়ে গেছে। পারাপারে অনেক ভয় হয়। বর্ষায় সামান্য বৃষ্টিতে সিঁড়িগুলো হয়ে যায় স্যাঁতস্যাঁতে। এতে বিশেষ করে শিশু, নারী এবং বৃদ্ধরা পড়েন চরম বিপাকে।

জানা যায়, এরআগে ২০১৯ সালে একটি কন্টেইনারের ধাক্কায় ফুটওভার ব্রিজটি মহাসড়কের পশ্চিমপাশে বেঁকে যায়। তবে এ ঘটনায় ব্রিজটির কোনো সংস্কারের কাজ হয়নি। মিরসরাই উপজেলা নির্বাহী অফিসার মিনহাজুর রহমান বলেন, আমি যতদ্রুত সম্ভব ফুটওভার ব্রিজ মেরামতের জন্য সড়ক ও জনপথ (সওজ) বিভাগে একটি চিঠি প্রেরণ করবো এবং তাদের সাথে কথা বলবো।

এ বিষয়ে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চট্টগ্রাম উপ-বিভাগীয় প্রকৌশলী রোকন উদ্দিন খালেদ বলেন, এ বিষয়ে কেউ জানায়নি। আমি পরিদর্শনে লোক পাঠাবো। যদি মেরামতের যোগ্য হয় তাহলে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নিবো।