কাল সাফ নারী ফুটবলের ফাইনাল। আর স্বাগতিক নেপাল এবার ভারতকে সেমিফাইনালে হারিয়ে ফাইনালে উঠেছে। অপর দিকে বাংলাদেশ ভারতকে গ্রুপ পর্বে ৩-০ গোলে হারিয়ে সেমি এসে ফাইনালে যাবার পথে ভূটানকে ৮-০ গোলে উড়িয়ে দিয়েছে। সেই বাংলাদেশ কাল শক্তিশালী নেপালের নারী ফুটবল দলের মুখোমুখি হবে ফাইনালে। কঠিন হাই ভোল্টেজের ম্যাচের আগে দু্ই শিবিরই মানসিক চাপে আছে।

ফাইনালের আগে বাংলাদেশ নারী ফুটবলের সফল কোচ ছোট্টনের দিকেই মিডিয়ার বেশি নজর ছিল। কি ভাবছেন ছোট্ট, কি পরিকল্পনা তৈরি করেছেন মেয়েদের জন্য? অধিনায়ক সাবিনার পাশেই সংবাদ সম্মেলনে বসা ছিলেন। সাবিনার বক্তব্যের পর ছোট্টনকে প্রশ্ন করা হলে তিনি বলেন, ‌’মানসিক ও ফিজিক্যালি ফিট ফাইনালের জন্য। দুদিন সময়ে ঠিখ করেছি। প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ম্যাচ হবে। কারণ নেপাল খুবই শক্তিশালী দল। ফিজিক্যালি, টেকটিক্যালি। আমদের শেষ চারটি ম্যাচ মেয়েরা দুর্দান্ত খেলেছে। স্বাগতিকদের বিপক্ষে খেলা সব সময়ই কঠিন। তারপরও আমরা চার ম্যাচে দুর্দান্ত খেলেছে। মেয়েরা ভাল কেলেছে। কোন প্রেসার নেই।

আমরা প্রতিজ্ঞাবদ্ধ মানসিকভাবে। তারা লড়তে প্রস্তুত। গোলকিপার, ডিফেন্ডিং পজিশনে যারা রয়েছে তারা ভাল করছে। আমাদের সেরাটা দিয়ে চেষ্টা করবো। নেপাল হয় ভাল ফুটবল খেলে। ৭হাজার ২ ৫০ জনের ক্রাউড ছিল স্টেডিয়ামে। ১৫ হাজার দর্শক আসবে আশাকরি ফাইনালে। কিছুটা কঠিন এই ক্রাউডে খেলা। নেপাল এই সুবিধা পাবে। ২০১৮ সালে ভুটানে নেপালের বিপক্ষে ক্রাউডের মধ্যে ফাইনালে খেলেছে বাংলাদেশ। পরের বছর মায়ানমারে এএফসি কোয়ালিফিকেশন দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলেছে ক্রাউডের মধ্যে। ফুল ক্রাউড ও শাউটে খেলেছে। ১৮ কোটি মানুষ আমাদের সঙ্গে আছে। তারা উপভোগ্য ম্যাচ দেখবে।

২০১৫ অনূর্ধ্ব-১৪ এবং ২০১৬ সালে তাজিকিস্তান ১-০, ভুটান অনূর্দ্ব-১৯ ৩-০ গোলে জিতেছি। এটা আমাদের জন্য চ্যালেঞ্জ। শেষ চার ম্যাচে যে পারফরম্যান্স করেছে মেয়েরা সেই একই রিদমে খেলবে ফাইনালেও।

সাবিত্রা ভান্ডারি দক্ষিণ এশিয়ায় অন্যতম সেরা স্ট্রাইকার। আমাদেরও সাবিনা, মাসুরার খেলার অভিজ্ঞতা রয়েছে। নেপাল অবশ্যই শক্তিশালী দল। তবে সাবিত্রা থাকা না থাকা নিয়ে আমাদের কোন মাথা ব্যাথা নেই। অন্যরা ১২ সেন্টার ডিফেন্ডার ১৬ ও ভালো খেলে। আমরা আশাবাদি নেপালের বিপক্ষে জিততে পারিনি। বিগত দিনে কি হয়েছে, না হয়েছে তা নিয়ে ভাবছি না। মেয়েরা ভাল ফুটবল খেলবে। ভারতের সঙ্গে কখনো জিতিনি। এবার তা হয়েছে। কাল আরেকটি দিন। অন্য দিন। যদি মেয়েরা ভালভাবে খেলতে পারে, তাহলে নতুন একটা কিছু দেওয়ার চেস্টা করবে। ইতিহাস সৃস্টি করতে চেস্টা করবে।

স্বপ্না ইনজুরি কাটিয়ে উঠতে চেষ্টা করছে। আমার বিশ্বাস দলটি দীর্ঘ দিন একসঙ্গে আছে। দীর্ঘদিন পরিশ্রম করছে। সব ধরনের সহযেুাগিতা বাফুফে দিচ্ছে। তাদের যে মনোবল, একাগ্রতা, ইচ্ছাশক্তি ও বুঝাপড়া এগুলো বড় শক্তি। ভালো ফুটবল খেলবো ও জিতবো। একটি আবেগ পূরনের দিন।

আমরা লক্ষ্যের দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেছি। টুর্নামেন্টের শুরু থেকে বৃষ্টি প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করেছে। তবে জয় আটকে রাখতে পারেনি। কাল আমাদের ফাইনাল ম্যাচ। এই ম্যাচে অনেক অভিজ্ঞতা অর্জন করতে পারবে। ক্রাউড, শাউট ও প্রতিদ্ব›িদ্বতাপূর্ণ ম্যাচ হবে।

উজবেকিস্তানে আমরা এশিয়া কাপের বাছাইয়ে দুটি ম্যাচ খেলেছিলাম। ওইখানের অভিজ্ঞতা আমাদের অনেক কাজে দিয়েছে। যা কালকের ম্যাচে কাজে দেবে।