থাইল্যান্ডের রাজধানী ব্যাংককে আয়োজিত হুয়াওয়ে কানেক্টের দ্বিতীয় দিনে গ্লোবাল সহযোগীদের সহায়তা করতে ‘এমপাওয়ার প্রোগ্রাম’ উন্মোচন করেছে হুয়াওয়ে। তাঁদের সহায়তায় হুয়াওয়ে আগামী তিন বছরে ৩শ’ মিলিয়ন মার্কিন ডলার বিনিয়োগ করবে।

গ্রাহকদের আরও উন্নত সেবা দেয়ার ক্ষেত্রে এই প্রোগ্রামটি হুয়াওয়ে’র সহযোগীদের তিন ধরণের সক্ষমতা অর্জনে সহায়তা করবে। যা হলো: ডিজিটাল রূপান্তরে পরামর্শ ও পরিকল্পনা, প্রোডাক্ট ও পোর্টফোলিও সংশ্লিষ্ট দক্ষতা এবং বিভিন্ন সল্যুশনের উন্নয়ন। এই প্রোগ্রামে ‘ওপেনল্যাব’র মাধ্যমে সহযোগীদের সাথে যৌথ উদ্ভাবনে যাবে হুয়াওয়ে; যা নতুন ফ্রেমওয়ার্ক, পরিকল্পনা এবং সমন্বিত প্ল্যাটফর্মের মাধ্যমে তাঁদের ক্ষমতায়নে ভূমিকা করবে। এছাড়াও, হুয়াওয়ে আইসিটি একাডেমি ও হুয়াওয়ে অথোরাইজড লার্নিং পার্টনার (এইচএএলপি) প্রোগ্রামের মাধ্যমে মেধার বিকাশ ঘটাতে সহায়তা করা হবে।

হুয়াওয়ে এন্টারপ্রাইজ বিজি’র প্রেসিডেন্ট রায়ান ডিং ‘এমপাওয়ারিং ইন্ডাস্ট্রি, ক্রিয়েটিং ভ্যালু’ শীর্ষক মূল বক্তব্যে বলেন, “ক্রম-পরিবর্তনশীল বিশ্বে প্রতিষ্ঠানগুলোকে টিকে থাকতে সহায়তা করবে ডিজিটাল রূপান্তর। ব্যবহারোপযোগী প্রযুক্তিগত সহায়তা দিতে, ডিজিটাল রূপান্তর এগিয়ে নিতে এবং ডিজিটাল সক্ষমতা ত্বরাণ্বিত করতে হুয়াওয়ে এর সহযোগীদের সাথে ঘনিষ্ঠভাবে কাজ করে যাচ্ছে।”

এ সময় ডিং আরও জানান, হুয়াওয়ে এর কানেক্টিভিটি, কম্পিউটিং ও ক্লাউড প্রযুক্তি ব্যবহার করে, খাত সংশ্লিষ্ট উদ্ভাবন অব্যাহত রাখতে, মাল্টি-টেক সিনার্জি নিশ্চিতে এবং গ্রাহকদের বিভিন্ন চাহিদা পূরণে সিনারিও-ভিত্তিক সমাধান নিয়ে আসতে এর সহযোগীদের সাথে কাজ করছে। তিনি আরও বলেন, হুয়াওয়ের এ উদ্যোগ উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রাখবে এবং ডিজিটাল রূপান্তরে বিস্তৃত পদক্ষেপ গ্রহণে গ্রাহকদের স্বাচ্ছন্দ্য নিশ্চিত করবে।

ব্যাংককে আয়োজিত তিনদিনব্যাপী এই সম্মেলনটি হুয়াওয়ে কানেক্টের বিশ্বযাত্রার প্রথম পদক্ষেপ। হুয়াওয়ে কানেক্টের এই আয়োজনে থাকছে দু’টি প্রধান সেশন, ছয়টি সামিট এবং অসংখ্য আলোচনা সেশন ও ডেমো, যেখানে ডিজিটাল রূপান্তরের দিকে যাত্রার নানান ধাপে সরকার ও এন্টারপ্রাইজগুলোর বিভিন্ন চ্যালেঞ্জ নিয়ে আলোচনা করা হবে। পাশাপাশি, ডিজিটাল অবকাঠামো, সর্বাধুনিক ক্লাউড সেবা এবং ইকোসিস্টেম পার্টনার সল্যুশনের ক্ষেত্রে হুয়াওয়ে’র অগ্রযাত্রাকে তুলে ধরা হবে।